হামাস কর্মকর্তাদের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের শুক্রবার কায়রোতে যাওয়ার কথা। সেখানে তারা হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে একটি মিশরীয় শান্তি প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে । ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
মিশরের তিন পর্বের শান্তি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে: ৭ অক্টোবর হামাস যখন ইসরাইলের ওপর আক্রমণ শুরু করেছিল তখন হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরাইলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি প্রদান; যুদ্ধবিরতি পালন করা যা ক্রমান্বয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এবং যুদ্ধোত্তর গাজা প্রশাসনের জন্য টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি ফিলিস্তিন সরকার গঠন করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবে গত সপ্তাহ থেকে হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। ইসলামিক জিহাদও ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
শুক্রবারও ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বাসিন্দারা বলছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসিরাত ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে রাতভর বাড়িঘরে আঘাত হেনেছে। বুরেজ শরণার্থী শিবিরেও তুমুল যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে।
বুরেজের কাছাকাছি ইসরাইলের ট্যাংক দেখা গেছে। হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে তারা বলেছে, তাদের বাহিনী পূর্বাঞ্চলের ইসরাইলের ট্যাংক এবং সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তারা ভিডিওটি যাচাই করতে পারেনি।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় সতর্ক করেছে, গাজা ভূখণ্ডে তীব্র লড়াই, ঘন ঘন যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়া, রাস্তা অবরুদ্ধ করা এবং জ্বালানির অভাব মানবিক কার্যক্রমের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করছে।
৭ অক্টোবর হামাস জঙ্গিরা ইসরাইলের সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণাঞ্চলে আক্রমণ করে। ইসরাইল জানায়, এই হামলায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। হামাস প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করেছে, যাদের মধ্যে ১২৯ জন গাজায় রয়ে গেছে।
প্রত্যুত্তরে ইসরাইল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার অঙ্গীকার করে এবং গাজায় বিমান, স্থল ও সামুদ্রিক হামলা চালায়। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের আক্রমণের ফলে গাজায় বিশাল ধ্বংস্তূপ তৈরি হয়েছে এবং ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, তাদের ১৬৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।