লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হেজবুল্লাহ মঙ্গলবার বলছে, তারা ইসরাইলের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হেজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ও হামাসের উপনেতাকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সংগঠনটি।
হামাস বলছে, ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাফেদ এলাকার একটি ইসরাইলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবানন থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বেশ কিছু আকাশযান প্রতিহত করতে ইন্টারসেপ্টর পাঠিয়েছে। এ সময় ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের একটি ঘাঁটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে। সামরিক বাহিনী জানায়, এই হামলায় কেউ হতাহত বা কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার একটি ইসরাইলি ড্রোন দক্ষিণ লেবাননে একটি গাড়িতে আঘাত করলে তিন ব্যক্তি নিহত হয়।
এক দিন আগে দক্ষিণ লেবাননে অপর এক গাড়িতে ইসরাইলি হামলায় হেজবুল্লাহর কমান্ডার উইসাম আল-তাবিল নিহত হন। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছেন, এ অঞ্চলে হেজবুল্লাহর কার্যক্রমে তার নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ছিল।
ইসরাইল বলছে, তাদের সামরিক বাহিনী সোমবার হেজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। তবে তারা তাবিলের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলেনি।
৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরাইল আকস্মিক হামলা চালালে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। সঙ্গে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মাঝেও চলতে থাকে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। এই যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে সিনিয়র হেজবুল্লাহ সদস্য হিসেবে প্রাণ হারালেন তাবিল।
মঙ্গলবারও ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্থল ও বিমানহামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার কেন্দ্রে ও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে বিমানহামলা চালায় দেশটি।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা খান ইউনিসে প্রায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি জঙ্গিকে হত্যা করেছে।
গাজার কেন্দ্রে নুসেইরাত রিফিউজি ক্যাম্পের বাসিন্দারা বলছেন, ইসরাইলি বাহিনী শেলবর্ষণ করেছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধ করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।