ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার তাদের বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি হাসপাতালের অভ্যন্তরে তিন ফিলিস্তিনি জঙ্গিকে হত্যা করেছে। যার মধ্যে একটি আসন্ন হামলার পরিকল্পনাকারী হামাস সদস্যও রয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জেনিনের ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা চালানোর পর ইসরাইলি বাহিনী ওই তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে।
হাসপাতালের এক ভিডিও ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজে দেখা গেছে, প্রায় এক ডজনের মতো সৈন্য ছদ্মবেশে হাসপাতালের করিডোরে হাঁটছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আক্রমণ বন্ধে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
অপরদিকে ইসরাইল অভিযোগ তুলেছে যে হামাস হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর নিচে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে এবং তারা বেসামরিক লোকজনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মোহাম্মদ জালামনেহ নামের একজনকে হামাসের সাথে যোগসাজশ আছে বলে চিহ্নিত করেছে। তারা বলেছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইসরাইল বলে, ঐ হামলায় ১,২০০ লোক নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে নিহত প্রায় ৩৭০ জনের মধ্যে বেশিরভাগই ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে গাজা ভূখণ্ডে ২৬,৭০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। সেই সাথে এর অধিকাংশ অঞ্চলই ধ্বংস হয়ে প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া মঙ্গলবার বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেয়েছে। যুদ্ধ স্বল্পমেয়াদে বন্ধ এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই চুক্তিতে।
হানিয়া আরও বলেন, হামাস প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখবে এবং এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি কায়রো সফর করবেন।
ভয়েস অব আমেরিকার জাতিসংঘের সংবাদদাতা মার্গারেট বেশির এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন। কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।