যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলছে, তারা রবিবার দিনের শুরুতে একটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার্থে হামলা চালিয়েছে। হুথিদের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি “লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল”, বলছে সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সেন্টকম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অবস্থিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে “এ অঞ্চলে মোতায়েন করা (যুক্তরাষ্ট্রের) নৌবাহিনীর জাহাজ ও বাণিজ্যিক নৌযানের প্রতি তাৎক্ষনিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেছে”। সেন্টকম বলছে, তাদের এই পদক্ষেপে নৌচলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছে এবং “নৌবাহিনীর নৌযান ও বাণিজ্যিক নৌযানের জন্য আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা আরও নিরাপদ হয়েছে”।
শনিবার ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কমপক্ষে ৩৬টি হুথি লক্ষ্যবস্তুর ওপর দ্বিতীয় দফার পালটা হামলা চালিয়েছে।
এই যৌথ অভিযানে ওয়েপন লঞ্চার, রাডার ও ড্রোন ধ্বংসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর উদ্দেশে ওয়েস্ট কোস্ট সফর করার আগে তাকে এই হামলার বিষয়ে ব্রিফিং দেওয়া হয়।
সর্বশেষ যৌথ অভিযানের কয়েক ঘণ্টা আগে সেন্টকম জানায়, তারা ছয়টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল।
রাশিয়া সোমবার বিকেলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি জরুরি বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে। জাতিসংঘে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী উপপ্রতিনিধি দমিত্রি পলিয়ানস্কি এক্সে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ডেলাওয়্যারে অবস্থিত ডোভার বিমানঘাঁটি থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউস ব্যুরো চিফ প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা জেফ সেলদিনও এতে কাজ করেছেন।