অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে “বিজয় ভাষণ” দিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খান


কম্পিউটার জেনারেটেড কন্ঠস্বর ব্যবহার করে, ইমরান খানের গলায়, শুক্রবার পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তৃতা প্রচার করেছে তার দল। ইমরান খানের দল এই বক্তৃতাকে “বিজয় ভাষণ” বলে উল্লেখ করেছে।
কম্পিউটার জেনারেটেড কন্ঠস্বর ব্যবহার করে, ইমরান খানের গলায়, শুক্রবার পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তৃতা প্রচার করেছে তার দল। ইমরান খানের দল এই বক্তৃতাকে “বিজয় ভাষণ” বলে উল্লেখ করেছে।

কম্পিউটার জেনারেটেড কন্ঠস্বর ব্যবহার করে, ইমরান খানের গলায়, শুক্রবার পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তৃতা প্রচার করেছে তার দল। ইমরান খানের দল এই বক্তৃতাকে “বিজয় ভাষণ” বলে উল্লেখ করেছে।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজিন্সের মাধ্যমে সৃষ্টি করা ইমরান খানের কন্ঠস্বরে বলা হয়, “২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমার পূর্ণ আস্থা ছিলো, আপনারা সবাই ভোট দিতে আসবেন।আপনাদের এই বিপুল ভোটদান সবাইকে সত্যিই বিস্মিত করেছে।”

বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায় যে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। নির্বাচনের পর ফলাফল ঘোষণা অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত হয়। আর, অভিযোগ উঠে, সামরিক বাহিনী সমর্থিত দলগুলোর পক্ষে কারসাজি করার জন্য ফলাফল ঘোষণা বিলম্বিত হয়েছে।

এর মধ্যে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা আইনসভার নিন্ম কক্ষের মোট ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৪২টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এই ফলাফলে দেখা যায় যে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা মোট ৯৮ টি আসনে জয়লাভ করেছে। এই আসন সংখ্যা অন্য যে কোনো দলের আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি। আর, নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন সত্বেও এই ফলাফল আসে।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন এর প্রার্থীরা জিতেছেন ৬১টি আসনে। নওয়াজ শরীফের প্রতি পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে বলে মনে করা হয়।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি জয়লাভ করেছে ৫২টি আসনে।এই আসন সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি।

কেবল মাত্র পিটিআই এর সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে দলটির নেতা ইমারান খানের বক্তব্য প্রচার করা হয়। কারণ, পাকিস্তানের মূলধারার গণমাধ্যমে ইমরান খানের নাম বা ছবি প্রচার নিষিদ্ধ। পিটিআই জানিয়েছে, ভাষণ প্রচারের আগে ইমরান খানের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন নেয়া হয়েছিলো।

একাত্তর বছর বয়সী খান তার ভাষণে দাবি করেন, “নিরপেক্ষ সূত্র অনুযায়ী, ফলাফলে কারচুপি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৫০টি আসনে এগিয়ে ছিলাম। আর, এখন আমরা ১৭০টির বেশি আসনে এগিয়ে আছি।”

বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচনের সময় দেশটির মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা স্থগিত করা হয়। আর, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত সহিংসতার খবর পাওয়া যায়। এ কারণে ইতোমধ্যেই এই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা বিতর্কের মুখে পড়েছে।

ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “পিএমএলএন নেতা নওয়াজ শরীফ বিজয় ঘোষণা করেছেন।কিন্তু এখনো চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই এর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এখনো এগিয়ে রয়েছেন।”

কুগেলম্যান যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, "সেনাবাহিনী, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। এখন তাদের পছন্দনীয় দল জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।”

কারচুপির অভিযোগের জবাব দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনই একমাত্র অনুমোদিত সংস্থা বলে দাবি করেন পাকিস্তানের তথ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। শুক্রবার সাংবাদিকদের তারা বলেন, “সব বড় রাজনৈতিক দল এই ফলাফলে সন্তুষ্ট।”

পাকিস্তানের মূলধারার টেলিভিশন সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা দিনভর কারচুপির ঘটনা এবং অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায় থেকে কোনো রিপোর্ট করতে পারেননি।

XS
SM
MD
LG