বুধবার ইসরাইল বলেছে, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং লেবানন থেকে ইসরাইলের দিকে ছোঁড়া বেশ কয়েকটি রকেট প্রতিহত করেছে।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস এলাকায় নতুন করে বিমান হামলার পাশাপাশি ওই এলাকা ও গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থল অভিযানের খবরও দিয়েছে।
বুধবার গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের অভিযানে আরও অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছে। অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২৯ হাজার ৯৫৪ জন নিহত এবং ৭০ হাজার ৩২৫ জন আহত হয়েছেন।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির জন্য শীঘ্রই নতুন একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আশাবাদে ইসরাইল, হামাস ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা তেমন সাড়া দেননি।
গত সপ্তাহে হামাস প্যারিসে মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনায় ইসরাইল সম্মত হওয়া একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এর অধীনে মুসলমানদের রোজার মাস রমজানে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি স্থগিত করবে। এটি হবে যুদ্ধের প্রথম বর্ধিত যুদ্ধবিরতি।
চলতি সপ্তাহে কাতারে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দল বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তবে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করছে এমন কোনো বিষয়ে আমাদের চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। আমরা আশাবাদী যে, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবো।”
হামাসের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এখনো অনেক বড় ব্যবধান আছে। যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের প্রাথমিক ও প্রধান বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। এর ফলে একটি চুক্তি সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে।”
যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বাইডেনের আশাবাদের বিষয়ে ইসরাইল সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও সরকারের মুখপাত্র তাল হেনরিখ বলেছেন, যেকোনো চুক্তিতে হামাসকে “অন্য কক্ষপথের, অন্য গ্রহের” অদ্ভুত দাবি বাদ দিতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা রাজি আছি। কিন্তু হামাস রাজি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।