গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা সিটিতে একদল ফিলিস্তিনি মানবিক ত্রাণের জন্য যখন অপেক্ষা করছিল তখন ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১০৪ জন নিহত ও আরও কয়েকশো জন আহত হয়েছে।
গাজা সিটির পশ্চিমাংশে আল-নাবুসির আশেপাশে এই ঘটনা ঘটেছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ বন্টনের সময় ট্রাক থেকে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি ও পদপিষ্ট হয়ে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। এই সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, ঘটনাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে স্থল অভিযান চালানোর খবর জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই সঙ্গে এই ভূখণ্ডের দক্ষিণাংশে খান ইউনিস এলাকায় বিমান হামলাও চালানো হয়েছে।
হামাস-পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সকালে বলেছে, ইসরাইলি আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০০৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত আরও ৭০,৪৫৭ জন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক জেনেভায় বলেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে সকল পক্ষই যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
তুর্ক জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে বলেছেন, “এবার শান্তি, তদন্ত ও জবাবদিহিতার সময়।”
গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলে রাফাতে ইসরাইলের পরিকল্পিত হামলার বিষয়েও তুর্ক সতর্ক করেছেন। রাফা এলাকায় আনুমানিক ১৫ লক্ষ ফিলিস্তিনি বাস করে, তবে এদের অনেকেই নিরাপত্তার খোঁজে অন্য এলাকায় চলে গেছে।
রাফা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরানোর বিষয়টি ইসরাইলের কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, তবে এই ছিন্নমূল ফিলিস্তিনিরা কোথায় যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তারা দেননি।
জাতিসংঘ বুধবার বলেছে, গাজা ভূখণ্ডে যারা মানবিক ত্রাণ বন্টন, সরবরাহ বা সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে তারা প্রাণঘাতী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক নিউইয়র্কে সংবাদদাতাদের বলেন, চলমান সংঘাতের ফলে সৃষ্ট বিপদের কারণে জাতিসংঘ বারবার মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছে।