হর্ন অফ আফ্রিকা বা আফ্রিকা শৃঙ্গের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূত জেফরি ফেল্টম্যান শান্তি বৈঠকের বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের জন্য বৃহস্পতিবার ইথিওপিয়া সফর করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটিতে চলমান সংঘাত নিরসনে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে চাপ প্রয়োগ করাই ওই সফরের উদ্দেশ্য।
ইথিওপিয়ার সরকার এবং উত্তরের টিগ্রায় অঞ্চলের নেতৃত্বের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।
শত্রুতার অবসান ঘটিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের সমাধান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকারের জন্য বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
আদ্দিস আবাবায় ফেল্টম্যানের আসন্ন সফরের বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, “ফেল্টম্যান শান্তি বৈঠকের বিষয়ে আলোচনার লক্ষ্যে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ৬ জানুয়ারি আদ্দিস আবাবায় থাকবেন”।
তবে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় ৩০ ডিসেম্বরের এক প্রতিবেদনে বলেছে, টিগ্রায়ে এখনো বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কোনো ত্রাণ বহনকারী যানবহর সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে ফেল্টম্যান বেশ কয়েকবার এই অঞ্চলে ভ্রমণ করার পাশাপাশি ওয়াশিংটন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাপ বাড়িয়েছে।
টিগ্রায় অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকির পর, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার ইথিওপিয়ার জন্য শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেছে।
নভেম্বরে, ইরিত্রিয়ার সামরিক বাহিনী ও ইরিত্রিয়া ভিত্তিক ব্যক্তি ও কয়েকটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই পদক্ষেপ নেওয়ার পর ওয়াশিংটন সতর্ক করে বলেছে, ওই সংঘাতের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য পক্ষগুলোর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত তারা।