কানাডার সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের মর্মান্তিক মৃত্যু; অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশার তদন্ত

আরসিএমপি প্যাটেল পরিবারের এই ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে জগদীশ বলদেবভাই প্যাটেল (৩৯) বৈশালীবেন জগদীশকুমার প্যাটেল (৩৭) বিহাঙ্গী জগদীশকুমার প্যাটেল (১১) এবং ধার্মিক জগদীশকুমার প্যাটেল (৩) কে দেখা যাচ্ছে।২৭ জানুয়ারী ২০২২। (ছবি-রয়টার্স)

অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি অভিযানে ভারতের পুলিশ ছয়জনকে গেপ্তার করেছে বলে কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তের কাছে ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হওয়া চার ভারতীয় নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলে, এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

একই দিনে, কানাডার রাজধানী অটোয়ায় অবস্থিত ভারতের হাই কমিশন, নিহত চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করে। তারা হলেন, ৩৯ বছর বয়সী জগদীশ বলদেবভাই পাটেল, ৩৭ বছর বয়সী বৈশালীবেন জগদীশকুমার পাটেল, ১১ বছর বয়সী বিহঙ্গী জগদীশকুমার পাটেল ও ৩ বছর বয়সী ধার্মিক জগদীশকুমার পাটেল।

রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) জানায় যে তাদের ধারণা পরিবারটি ১২ জানুয়ারি কানাডায় আসে। টরন্টোতে পৌঁছানোর পর তারা ১৮ জানুয়ারি ম্যানিটোবার এমারসনে যায়। ক্রিমিনাল অপারেশন্স অফিসার রব হিল বলেন যে, সীমান্তের কাছে কোন পরিত্যক্ত গাড়ি পাওয়া যায়নি, যা থেকে ধারণা করা যায় যে কেউ তাদেরকে সেখানে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছে।

ভারতের পুলিশের গ্রেপ্তার করা ছয়জন ব্যক্তি ভারতের পশ্চিমের রাজ্য গুজরাটে, একটি ট্রাভেল ও ট্যুরিজম কোম্পানী পরিচালনা করতেন বলে, রাজ্যটির রাজধানী গান্ধীনগরে পুলিশ কর্মকর্তা এ. কে. ঝালা জানান।

ম্যানিটোবায় ঐ চারজনের মৃতদেহ উদ্ধারের পর যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ, স্টিভ শ্যান্ড নামের ফ্লোরিডার এক লোককে মানবপাচারের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। মিনেসোটার সীমান্ত থেকে কিছুটা উত্তরেই ম্যানিটোবা অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত সোমবার শ্যান্ডকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়।


ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লীতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন কর্মকর্তা বলেন যে, কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসনের এই মামলাটির তদন্তে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত-কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাজ করছে।