লিবিয়ায় দুই পক্ষের মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ: অসংখ্য মানুষ হতাহত

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যাচ্ছে। ২৭ আগস্ট, ২০২২।

লিবিয়ার দুই বিরোধী সরকারের অনুগত প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়ারা শনিবার বিকেল পর্যন্ত রাজধানী ত্রিপোলির কেন্দ্রের কাছে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। লিবিয়ার সংবাদমাধ্যম অনুসারে, ওই সংঘর্ষে অসংখ্য লোক হতাহত হয়।

প্রাচ্য-সমর্থিত নতুন প্রধানমন্ত্রী ফাথি বাশাঘার সমর্থকরা ত্রিপোলির কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। অন্যদিকে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দ্বইবাহার’এর অনুগত বাহিনী এখনও শহরের বড় অংশ দখল করে আছে।

শনিবার বিকেলে দেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের প্রতি অনুগত মিলিশিয়ারা শহরের কেন্দ্রস্থলে গোলা গুলি শুরু করলে, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে।

লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিদ্বন্দ্বী যোদ্ধাদের মধ্যে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য রাজধানীর কেন্দ্রে একটি মানবিক করিডোর খোলার আহ্বান জানিয়েছে। লিবিয়ার মিডিয়া আহতদের খবর দিচ্ছে, নাগরিকদের রক্ত দিতে বলা হচ্ছে।

সৌদি মালিকানাধীন আল-আরাবিয়া টিভি জানিয়েছে, ভাবী প্রধানমন্ত্রী ফাতি বাশাঘা, যার নাম এই বছরের শুরুতে দেশটির প্রাচ্য-ভিত্তিক সংসদে প্রস্তাব করা হয়েছিল, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দ্বেইবাহকে "রাজধানী ত্যাগ করতে" বলেন। দ্বেইবাহ তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে, তিনিও "দেশের সেবায় সর্বত নিয়োজিত।" তবে ভিওএ নিরপেক্ষ কোনও সূত্র থেকে এই উদ্ধৃতির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

উপকূলীয় শহর মিসরাতা থেকে প্রধানমন্ত্রী বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়া যোদ্ধাদের একটি সাঁজোয়া যান নিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে ত্রিপোলির দিকে যাওয়ার ভিডিও দেখিয়েছে, আরব মিডিয়া। তবে রাজধানীর অভ্যন্তরে সঠিক পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট।

যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ায়, লিবিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান মোহাম্মদ আল মেনফি প্রতিবেশী তিউনিসিয়া সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।