উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে যে তারা খুব শীঘ্রই কোভিড-১৯-এর টিকাদান শুরু করতে পারে। তবে তারা কি ধরনের টিকা ব্যবহার করবে, কোথা থেকে সংগ্রহ করবে বা কতগুলি ডোজ দেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত সপ্তাহে দেশটির সংসদ সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলিতে দেয়া এক ভাষণে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে নভেম্বর মাসে কোভিড-১৯ টিকাদান অভিযান শুরু হবে।
কিম এই শীতে কোভিড-১৯ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা আবার দেখা দেয়ার সম্ভাব্যতার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “দায়িত্বশীলভাবে টিকা দেওয়ার সময় আমাদের নভেম্বর থেকে সমস্ত বাসিন্দাকে তাদের নিজের স্বাস্থ্য রক্ষায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া উচিত।”
কিমের এই সতর্কবার্তা এসেছে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে যখন তিনি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করেছিলেন এবং মহামারী বিরোধী উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপগুলি শিথিল করেন।
জাতিসংঘ-সমর্থিত ভ্যাকসিন বিতরণ প্রচেষ্টা ‘কোভ্যাক্সের’ কাছ থেকে কোভিডের টিকার প্রস্তাব বারবার উত্তর কোরিয়া উপেক্ষা করেছে। কিমের সর্বসাম্প্রতিক মন্তব্যের পরেও উত্তর কোরিয়া গাভির কাছ থেকে কোনও ভ্যাকসিনের অনুরোধ করেছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। গাভি, কোভ্যাক্স পরিচালনায় সহায়তা করে এমন একটি ভ্যাকসিন জোট।
উত্তর কোরিয়া ও ইরিত্রিয়া একমাত্র দেশ যারা এখনও ব্যাপকভাবে কোভিড-১৯-টিকাদান শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছেন যে উত্তর কোরিয়া বিশেষভাবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উত্তর কোরিয়ায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য বেশি,সেখানে চিকিৎসা সম্পদের অভাব রয়েছে ।
উত্তর কোরিয়ায় এখন পর্যন্ত কোভিডজনিত কারণে ব্যাপক মৃত্যুর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর কারণ হতে পারে যে, ২০২০ সালের শুরুতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনে করোনাভাইরাস আবির্ভূত হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া তার সীমান্ত বন্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল। উত্তর কোরিয়ার কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামাজিক নিয়ন্ত্রণও প্রায় অন্য যে কোন দেশের তুলনায় অনেক বেশি।