চিয়াং কাই-শেকের প্রপৌত্র ওয়েন চিয়াং ওয়ান-আন গত মাসের শেষের দিকে তাইপেই সিটির মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন।এশীয় রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে যারা এ ধরনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি তাদের মধ্যে সর্বসাম্প্রতিকতম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চিয়াং ওয়ান-আন জাতীয়তাবাদী পার্টির (কেএমটি) একজন তরুণ, মধ্যপন্থী এবং আমেরিকান-শিক্ষিত সদস্য হিসেবে পরিবারের অন্যান্য রাজনীতিবিদদের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন ধরনের। এক দশকের বেশি আগে রাজনীতিতে প্রবেশের পূর্বে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোতে মূলধন বিষয়ক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কর্পোরেট আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছে।
তাইওয়ানের ইতিহাসে বিশেষজ্ঞ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অ্যাডজাঙ্কট সহকারী অধ্যাপক জেমস লিন বলেছেন, সমসাময়িক রাজনীতিবিদদেরকে তাদের পারিবারিক উত্তরাধিকার থেকে আলাদা করা একটি জটিল কাজ এবং এই কাজ কোন কোন দেশ অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি করতে ইচ্ছুক।
কেএমটির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য শুধুমাত্র দলটির প্রবীণ সদস্যদের খুব ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু দ্বারা সমর্থিত কিন্তু বেইজিংকে রাগন্বিত করার ভয়ে এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে অস্বীকার করা বিপজ্জনক একটি প্রস্তাব। বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ হিসেবে দাবি করে।
বরং দলের তরুণ সদস্যরা চুপচাপ বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন। দলের সরকারি সমর্থন বেইজিং এবং তাইপেই-এর মধ্যকার তথাকথিত “১৯৯২ ঐক্যমত্যের” প্রতি। এতে “এক চীন” নীতির কথা বলা থাকলেও কোন সরকারের নেতৃত্ব দেয়া উচিত তা বলা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি চিয়াং অয়ান-আন বড় কোনো রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি ছাড়াই টিকে থাকতে পারেন তাহলে তাইওয়ানের অধিবাসীরা তাকে ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে দেখতে পাবে- কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন সেটাও অন্তত ৮ থেকে ১২ বছরের আগে হবে না।তারা বলেন, চিয়াং নামটি তাইওয়ানের কিছু ভোটারকে তার দিকে টানতে পারে, তবে শুধু এই নামটি দিয়েই কাজ হবে না।