বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু ঢাকায় রবিবার বলেন যে র্যাব হিসেবে পরিচিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশে “বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতি সাধন” করেছে। এসময়ে তিনি অধিকার প্রবক্তা সংস্থাগুলোর একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন।
লু এর সাথে সাক্ষাতের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সংবাদদাতাদের বলেন যে, র্যাবের বিরুদ্ধে থাকা মানবাধিকার সংক্রান্ত অভিযোগগুলো সমাধানে তার সরকার অবশ্যই তাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
মোমেন বলেন, “আমাদের বৈঠককালে উভয় পক্ষই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী অবশ্যই র্যাবের সংস্কার করব।”
যদিও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা বরাবরই জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোন ঘটনা ঘটেনি, তবু ১৪ জানুয়ারিতে লু ঢাকায় অবতরণের মাত্র কয়েকঘন্টা পূর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সংবাদদাতাদের বলেন যে তার সরকার “দেশে [র্যাব] যেই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে” সেটি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে র্যাবের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানাবে।
লু রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়টিও রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পরপরই, লু রবিবার সংবাদদাতাদের বলেন যে, র্যাব বিষয়ে মোমেন এর সাথে তার “বেশ ভালো আলোচনা” হয়েছে।
লু বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সাথে আজকে আমাদের খুবই আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছে। আমরা যখনই সমস্যা দেখতে পাব, আমরা যখনই পরামর্শ দিতে পারব, আমরা তখনই কথা বলব।”
যুক্তরাষ্ট্র “বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকবে” উল্লেখ করে লু বলেন, “আপনারা যদি এই সপ্তাহের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিটি দেখে থাকেন, [তাহলে দেখবেন] তারা স্বীকার করেছে এবং আমরা স্বীকার করি যে, র্যাব কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে যে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে [সেটি]।”