সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের মন জয় করেছে ১০ বছর বয়সী এক জামাইকান শিশুর সৌন্দর্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের গান।
“বিউটিফুল ডে” শিরোনামের গানটি এবং এর বহু রিমিক্স সারা বিশ্ব জুড়ে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে শেয়ার করা হচ্ছে।
ভিডিওটি অতি সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর নেপথ্যের উপাখ্যান প্রায় ১ দশক আগে শুরু হয়েছিল, যখন গায়ক-গীতিকার জার্মেইন এডোয়ার্ডস ২০১৪ সালে জ্যামাইকাতে “বিউটিফুল ডে” গানটি প্রথম গেয়েছিলেন।
১০ বছর বয়সী রুশন ইওয়ার্স ২০১৭ সালে মধ্যাহ্নভোজের সময় জ্যামাইকার টপ হিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানটি পরিবেশন করেন। তার শিক্ষক শ্রেণীকক্ষের এই পরিবেশনার ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে পাশের কক্ষ থেকে ইওয়ার্সের সহপাঠীদের সেই সঙ্গীত উপভোগের মধুর দৃশ্যও দেখা যায়।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেখান থেকে পরবর্তী কয়েক বছর জ্যামাইকার ব্যবহারকারীরা এটি শেয়ার করেন।
তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই ভিডিওতে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিতি পায় এবং সারা বিশ্বের বিভিন্ন ব্যান্ড এই গানের নিজস্ব সংস্করণ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
“দ্য কিফনেস” নামে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গীতশিল্পী ইউকেলেলে ব্যবহার করে একটি রিমিক্স তৈরি করেন, যেটি ইতোমধ্যে ইউটিউবে ৬০ লাখ ভিউ পেয়েছে।
ইওয়ার্সের বয়স এখন ১৬। তার ভিডিও বিশ্বজুড়ে আগ্রহের কারণ হওয়াতে তিনি বিশেষ আনন্দিত। তিনি জ্যামাইকা গ্লিনারকে বলেন, “আমি জানি না কতজন মানুষ এই গানটি দেখেছে, কিন্তু আমার জন্য, সঙ্গীত এক অনুপ্রেরণার নাম। মাঝে মাঝে যখন আপনি বেদনা অনুভব করেন, তখন সঙ্গীত আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে পারে”।
গানের মূল রচয়িতা এডোয়ার্ডস ও তার গান নিয়ে নতুন করে আগ্রহ সৃষ্টি হওয়াতে উপকৃত হয়েছেন। তিনি সম্প্রতি সং মিউজিক ইউকের সঙ্গে নতুন চুক্তি সাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে সঙ্গীত বিষয়ক ওয়েবসাইট ড্যান্সহলম্যাগ।