তুরস্কের এফ সিক্সটিন জঙ্গি বিমান কেনার অনুরোধ: নেটোর সম্প্রসারণ ও সিরিয়া প্রসঙ্গের যোগসূত্র

ফাইল:তুরস্কের একটি এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান আদানার ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটির দিকে আগাচ্ছে (৩ জুলাই, ২০১২, তুরস্ক)

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-সিক্সটিন জঙ্গি বিমান কেনার অনুরোধ ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর আরেকটি সম্ভাব্য অভিযানের বিষয়গুলো ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলুর বুধবারের বৈঠকের আলোচ্যসুচীর শীর্ষে থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে । বিশ্লেষকরা বলেন, এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান নিয়ে যে কোনো চুক্তির সঙ্গে নেটোর সম্প্রসারণে তুরস্কের সময়োপযোগী সমর্থন ও উত্তর সিরিয়ায় আর কোনো সামরিক অভিযান পরিচালনা না করার বিষয়গুলো সম্পর্কযুক্ত।

তুরস্ক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪০টি এফ-সিক্সটিন বিমান ও প্রায় ৮০টি আধুনিকায়ন কিট কেনার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়। কংগ্রেসের অনুমোদন সাপেক্ষে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবিত বিক্রয় কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানান।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত সপ্তাহে জানায়, প্রশাসন এখন ২ হাজার কোটি ডলারের এই বিক্রয় কার্যক্রমের অনুমোদন নেওয়ার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেটোর ২৮টি সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের এই জোটে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়েছে। তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখনও সমর্থন দেয়নি। হাঙ্গেরি ব্জানিয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারির শুরুতে সমর্থন জানাবে। অর্থাৎ, আপাতত তুরস্ক এই উদ্যোগে সম্মতি না দেওয়া একমাত্র দেশ।

তুরস্কের প্রত্যাশা,ফিনল্যান্ড,এবং বিশেষত,সুইডেন গালেন আন্দোলনের সদস্য ও কুর্দি জঙ্গিদের দমনে আরও কঠোর উদ্যোগ নেবে। আঙ্কারার অভিযোগ, এই সংগঠনগুলো ২০১৬ সালে তুরস্কে ক্যু’র মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নেতারা উত্তর সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি সংগঠনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন। ওয়াইপিজি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস এর একটি অংশ।

তুরস্ক ও সিরিয়ার সরকারের মধ্যে সমঝোতা উদ্যোগের বিষয়টিও ওয়াশিংটনের আলোচনায় উঠে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন।

তুরস্কের চাভুসগলু সম্প্রতি জানান, তিনি ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দেশটি জানিয়েছে, তারা সেসব দেশকে সমর্থন জানায় না, যারা সিরিয়ার আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের “উন্নয়ন” ঘটাচ্ছে।

প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ গত সপ্তাহে জানান, “সিরিয়ার ভূখণ্ড দখলমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে”। তিনি জঙ্গিবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করার কথাও উল্লেখ করেন।