'বেশ কিছু পারমাণবিক অস্ত্রের' পর্যাপ্ত উপাদান প্রক্রিয়াকরণ করেছে ইরান: জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি প্রধান

আরাক ভারী জল চুল্লির সেকেন্ডারি সার্কিট স্থাপনাটি পরিদর্শন করছেন কর্মকর্তা এবং সংবাদ কর্মীরা। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা প্রকাশিত এই ছবিটি, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ সালে তোলা।

জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থার প্রধান বলেছেন, তিনি তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম রোধ করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত ২০১৫ সালের চুক্তিটি নবায়ন করানোর অভিপ্রায় নিয়ে আগামী মাসে ইরান সফরে যাবেন।

মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা উপকমিটির সদস্যদের সামনে দেয়া এক বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ৭০ কিলোগ্রাম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করেছে, এছাড়া ২০% বিশুদ্ধতায় আরও এক হাজার কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম তাদের হাতে রয়েছে। যা "বেশ কয়েকটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরমাণু উপাদান।"

ইউরেনিয়ামের ৯০% বিশুদ্ধতাকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সীমা বলে মনে করা হয়। তবে গ্রোসি প্যানেলকে বলেন, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিশাল মজুদের অর্থ এই নয় যে, তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

গ্রোসি আরও বলেন, আইএইএ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর আর নজরদারি করতে পারছে না কারণ, দেশটির সরকার তাদের ঘোষিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে ইনস্টল করা সংস্থাটির ২৭ টি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির বিনিময়ে, ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করার লক্ষ্যে, ইরান এবং ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি বিশ্বশক্তি এক যৌথ সামগ্রিক কর্ম পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করে।

তবে, চুক্তিটি ছিল একটি অকার্যকর পরিকল্পনা এই যুক্তি দিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। উপরন্তু তিনি, ইরানের উপর তথাকথিত "সর্বোচ্চ চাপ" প্রয়োগ করেন, যা আন্তর্জাতিক বাজারে তেল বিক্রি করার ইরানের ক্ষমতাকে খর্ব করে দেয়।

পরবর্তীতে, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো মূল চুক্তিটিকে নবায়ন করার লক্ষ্যে ২০২১ সাল থেকে কয়েক দফা আলোচনা করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।