পাকিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০

পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার জানাজার নামাজের জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জড়ো হন। ( ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩)

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে বোমা হামলায় ১৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা মঙ্গলবারও ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের বের করে আনছেন। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ভবনটির ছাদ ধসে পড়ে।

নিহতদের বেশিরভাগই প্রাদেশিক পুলিশ বাহিনীর সদস্য। মসজিদটিতে নিরাপত্তা ও সরকারী কর্মকর্তারা প্রায়শই যাতায়াত করতেন। বিকেলে প্রাত্যহিক জোহরের নামাজের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পুলিশের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে হামলার প্রকৃতি নিয়ে কোন মন্তব্য না করলেও বলেছেন, তদন্ত চলছে।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এক টুইটার পোস্টে এই বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে একে “সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলা” বলে অভিহিত করেছেন।

ইমরান খান বলেন, “সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় আমাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উন্নতি এবং পুলিশ বাহিনীকে যথাযথভাবে সজ্জিত করা জরুরি।“

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার তার মুখপাত্রের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণকে “ঘৃণ্য” বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

এই প্রাণঘাতী বোমা হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।

পাকিস্তানের এই প্রদেশটি আফগানিস্তানের সীমানায় অবস্থিত এবং সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বারবার সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হয়েছে। অতীতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, যা পাকিস্তানি তালিবান নামে পরিচিত।

ভয়েস অফ আমেরিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে পাকিস্তানি তালিবান বলেছে, তারা সোমবারের প্রাণঘাতী হামলা চালায়নি।

এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে এই প্রতিবেদনে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। রিচার্ড গ্রিন এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।