মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক দুর্নীতি উপলব্ধি সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ইরান ১৪৭তম স্থানে রয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট ইরানকে দুর্নীতির ধারণা সূচকে (সিপিআই) ২৫ স্কোর দিয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে “উচ্চ সিপিআই স্কোর প্রাপ্ত দেশগুলো সাধারণত কম সহিংস হুমকির সম্মুখীন হয়।”
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনির মৃত্যু নারী অধিকার কর্মী এবং হতাশ নাগরিকদের মধ্যে বিক্ষোভের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। আমিনি নামের একজন ইরানি কুর্দি তরুণীকে সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। এর ফলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে আমিনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানে অন্তত ৫২০ জন বিক্ষোভকারী নিহত এবং ১৯ হাজার ৪০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ইরান বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছে এবং অন্তত ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
ইরান ২০২২ সালের র্যাংকিং-এ ১৫০ এ ছিল। এ বছর ৩ ধাপ এগিয়ে ১৪৭-এ এসেছে।
সিপিআই তালিকার শীর্ষ ৫টি দেশ হলো ডেনমার্ক (৯০), ফিনল্যান্ড (৮৭), নিউজিল্যান্ড (৮৭), নরওয়ে (৮৪) এবং সিঙ্গাপুর (৮৩) । সবচেয়ে নিচে থাকা ৫টি দেশ হলো সোমালিয়া (১২), সিরিয়া (১৩), দক্ষিণ সুদান (১৩), ভেনিজুয়েলা (১৪) এবং ইয়েমেন (১৬)।
এএফপি জানিয়েছে, বার্ষিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ এবং ব্যবসায়ীদের সমীক্ষার ভিত্তিতে ১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলকে দুর্নীতির মাপকাঠিতে পরিমাপ করে থাকে।
সংস্থাটির লক্ষ্য হলো, “দুর্নীতি বন্ধ করা এবং সকল স্তরে ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সততার প্রচার করা।”
এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি এবং এপি থেকে নেয়া হয়েছে।