যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু দূতরা সোওলের পারমাণবিক হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না

দক্ষিণ কোরিয়ার কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কিম গুন ( সর্ব বামে) এবং উত্তর কোরিয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি সুং কিম (মাঝখানে), ভিওএ কোরীয় সার্ভিসের ইউনজুং চো আয়োজিত একটি ভিওএ শোতে উপস্থিত ছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ পরমাণু দূত বলেছেন যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যৌথভাবে “বর্ধিত সুরক্ষা” জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত একটি চুক্তি ইউন প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় আস্থা দিয়েছে। ইউন প্রশাসন মনে করছে যে এই জোট পিয়ংইয়ংয়ের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে।

চুক্তিতে বলা হয়েছে যে দুই দেশ ‍যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নীতি নিয়ে জোটের আলোচনা আরো শক্তিশালী করবে এবং অব্যহত রাখবে।

কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি কিম গুন শুক্রবার ওয়াশিংটন টককে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুকের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন। ভিওএ কোরীয় সার্ভিস প্রতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার ওপর এই আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে আমার প্রেসিডেন্ট এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত সুরক্ষা ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আর, আমাদের বর্ধিত সুরক্ষার কার্যকারিতা কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সে সম্পর্কে আমরা (যুক্তরাষ্ট্রের সাথে) খুব ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছি।“

১১ ই জানুয়ারী, ইউন বলেছিলেন যে সোওল উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির জবাব দিতে পারে তার নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে। ইউনের এই বক্তব্য ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং এর পর যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের কৌশলগত সম্পদ আবার মোতায়েন করে।

মনে করা হচ্ছে যে উত্তর কোরিয়ার জন্য নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি সুং কিমও দক্ষিণ কোরিয়া তার নিজস্ব পারমাণবিক বা অন্যান্য গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির কথা ভাবছে এমন অনুমানকে খাটো করে দেখছেন।তিনিও আলোচনা অনুষ্ঠানে কিম গুন-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং-সুপ গত ৩১ জানুয়ারি সোওলে তাদের বৈঠকে সুরক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হন। এছাড়া, এ মাসের শেষ দিকে উত্তর কোরিয়ার আসন্ন মহড়ায় সম্ভাব্য পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য তথ্য আদান প্রদানের উপায় অনুসন্ধানেও তারা সম্মত হন।

উভয় রাষ্ট্রদূত বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, উত্তর কোরিয়া তাদের দুই দেশের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।