যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে প্রায় ১ সপ্তাহ ভেসে বেড়ানোর পর, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ১টি যুদ্ধবিমান চীনা গোয়েন্দা বেলুনটি ভূপাতিত করেছে।
বেলুনটি, যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে, আটলান্টিক মহাসাগরে ভূপাতিত হয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ “নিঃসন্দেহে একটি মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া এবং এটি প্রচলিত আন্তর্জাতিক প্রথার চরম অবমাননা”। চীন আবারও দাবি করেছে যে এই বেলুনটি আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল। আর, বেলুনটি নজরদারির কাজে ব্যবহার হচ্ছিল বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্দেশ দিয়েছিলেন যে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই যেন বেলুনটিকে ভূপাতিত করা হয়। বেলুনটি উন্মুক্ত সাগরের ওপর দিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় পেন্টাগন।
সিআইএর সাবেক চীন বিশ্লেষক ডেনিস ওয়াইল্ডার ভয়েস অফ আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট ব্যুরো প্রধান নাইক চ্যাংকে জানান, এ ঘটনা চীনের নেতা শি জিনপিং এর জন্য একটা স্পর্শকাতর সময়ে ঘটলো।
ওয়াইল্ডার বলেন, “আমি বলবো, শূন্য-কোভিড নীতি প্রত্যাহারের পর, শি জিনপিং এখন সবাইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি গোটা বিশ্বকে বলতে চান, চীন এখন আবারও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের চীনে ফিরিয়ে আনতে চান”।
ওয়াইল্ডার আরও জানান, তিনি মনে করেন যে এই ঘটনাটি নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র, সমুদ্র থেকে বেলুনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে প্রমাণ করতে পারে যে এই অভিযানটি সন্দেহাতীতভাবে আবহাওয়া গবেষণা নয়, বরং নজরদারি অভিযান ছিল; এবং এই প্রমাণ যদি চীনকে দেখানো হয়, তাহলে এতে চীনা পক্ষ বিব্রত হবে। সঙ্গে পিপলস লিবারেশন আর্মিও বিব্রত হবে। আমি মনে করি, এ বিষয়টির ব্যবস্থাপনা করা খুবই ঝামেলাপ্রদ হবে, বিশেষত যদি যুক্তরাষ্ট্র এই তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। ধরে নেওয়া যায়, আগামীতে ২ দেশের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হতে যাচ্ছে”।
ইতোমধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার ওপর দিয়ে আরেকটি চীনা বেলুন উড়ে যেতে দেখা গেছে।