চীনের সাথে যুগান্তকারী বাণিজ্য আলোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার সংসদ ভবনে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে একটি বৈঠকের সময় অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফারেল(বামে) চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওর সাথে কথা বলার সময় তাকিয়ে আছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফারেলকে চীনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক অপসারণের দিকে এক ধাপ আগানো গেছে বলে আশা করা যাচ্ছে। কূটনৈতিক উত্তেজনা কয়েক বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করেছে। তবে ক্যানবেরা সরকার বলেছে, তারা “সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে” চায়।

সোমবার এক ভিডিও কনফারেন্সে ফারেল চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওকে বলেন, উভয় দেশ আরও সম্প্রীতিপূর্ণ এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক থেকে উপকৃত হবে। তিন বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং সোমবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন, ক্যানবেরা তার বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদারের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে আগ্রহী।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের পরিণতি। তাইওয়ান, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দক্ষিণ চীন সাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিং-এর উচ্চাকাঙ্খাসহ বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান এই উত্তেজনার উৎস।

তারপরে ২০২০ সালে ক্যানবেরার প্রাক্তন রক্ষণশীল সরকার কোভিড-১৯ এর উৎস সম্পর্কে তদন্তের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল। কোভিড-১৯ চীনে প্রথম সনাক্ত হয়েছিল।ক্যানবেরার এই প্রচেষ্টা বেইজিংকে ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ করে এবং তারা অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানির একটি পরিসরে বিধিনিষেধ আরোপ করে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ পর্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো সম্পর্কের উন্নয়নের আভাস দিয়েছে।