জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের আদেশ নবায়ন করবে না উগান্ডা

ফাইল- উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি কাগুতা মুসেভেনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে দেশ থেকে ভাষণ দেন। ( ২৩ সেপ্তেম্বর, ২০২১)

উগান্ডা বলেছে, তারা পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ম্যান্ডেট নবায়ন করবে না। কারণ ইতোমধ্যেই তারা মানবাধিকার মেনে চলা আর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজস্ব সক্ষমতা পর্যাপ্ত পরিমানে অর্জন করেছে।

বুধবারে রয়টার্সের কাছ থেকে জানা যায়, উগান্ডার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, মন্ত্রক তার সিদ্ধান্তের মূল কারণ হিসেবে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণের জন্য অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বিকাশে উগান্ডার অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই চিঠিটি দেখেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, "উগান্ডায় ওএইচসিএইচআর কান্ট্রি অফিসের ম্যান্ডেট বর্তমান মেয়াদের পরে নবায়ন না করার সরকারি সিদ্ধান্ত, মন্ত্রক জানাতে চায়।” মন্ত্রক এটিকে সত্য বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।

ওএইচসিএইচআর উগান্ডার কান্ট্রি অফিসের মুখপাত্র বার্নার্ড অ্যামউইন রয়টার্সকে বলেছেন, এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই।

প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনির সরকার বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন, অবৈধ আটক, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বিভিন্ন অধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিরোধী দল, মানবাধিকার কর্মী এবং পশ্চিমা দেশগুলির দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।

কর্মকর্তারা প্রায় সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ বছরের গেরিলা যুদ্ধের পর ক্ষমতায় আসা ৭৮ বছর বয়সী মুসেভেনি ১৯৮৬ সাল থেকে উগান্ডা শাসন করছেন। বিরোধী দল ও সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি তার ছেলেকে পরবর্তীতে তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছেন। মুসেভেনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছেন।

উগান্ডার পরবর্তী নির্বাচন ২০২৬ সালে এবং মুসেভেনি আরও একটি মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা সে বিষয়ে কোন ইঙ্গিত দেননি।