ইসরাইলের সমালোচনা করে নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া বিবৃতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন

পশ্চিম উপকূলের ইহুদি বসতি ইলাই (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩)

গত সপ্তাহে ইসরাইল বসতি সম্প্রসারণ করার এবং তাদের ৯টি বসতিকে বৈধতা দেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার এর প্রতিক্রিয়ায় “গভীর উদ্বেগ ও হতাশা” প্রকাশ করেছে।

প্রায় ৬ বছরেরও বেশি সময় পর ১৫-জাতির সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা পরিষদ বসতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করল। প্রথাগতভাবে মিত্র ইসরাইলকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করলেও এবার তা করেনি।

এই উদ্যোগ এমন সময় এলো, যখন ২ পক্ষের মাঝে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে এবং সহিংসতা বাড়ছে। এ বছরের শুরু থেকে অন্তত ৪৭ ফিলিস্তিনি ও ১০ ইসরাইলি নাগরিক মারা গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, "আমরা ইসরাইলের হাজার হাজার বসতি নির্মাণের ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং আমরা পশ্চিম উপকূলে ৯টি বসতিকে বৈধতা দেওয়ার ইসরাইলি ঘোষণারও বিরোধিতা করছি, যেটি আগে ইসরাইলের আইন অনুযায়ী অবৈধ ছিল"।

“এ ধরনের একপাক্ষিক উদ্যোগে চাপ বেড়ে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের মাঝে আস্থা কমে যায়। এছাড়াও এতে আলোচনার মাধ্যমে ২-রাষ্ট্র সমাধানে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ছোট করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের উদ্যোগে সমর্থন দেয় না—ফুল স্টপ”, বলেন তিনি।

সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি একইসঙ্গে সংস্থাটির ২-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি “অবিচল অঙ্গীকার” প্রকাশ করেছে এবং ইসরায়েলের বসতি সংক্রান্ত কার্যক্রমকে এই সম্ভাবনার প্রতি খুব “বিপদজনক” আখ্যায়িত করেছে।

নিরাপত্তা পরিষদ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে শান্ত সহনশীল থেকে পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের ঐতিহাসিক অবস্থানকে অটুট রাখার আহ্বান জানায়। একাধিক কাউন্সিল সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে, এ বছর মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজানের সঙ্গে ইহুদিদের পাসওভার ও ইস্টার ছুটি একই সময়ে পড়ে যাওয়ায় সহিংসতার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস থেকে নেওয়া হয়েছে।