বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট বিষাক্ত ধোঁয়া মেয়ে স্কুলছাত্রীদের অসুস্থ করেছে কি না সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিছু কর্মকর্তা সন্দেহ করেন, নারীশিক্ষাকে লক্ষ্য করে এমন আক্রমণগুলো করা হয়েছে।
নভেম্বর থেকে প্রায় ৩০টি বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে, কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি। কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনাগুলোর কথা অস্বীকার করেছিলেন। শুধুমাত্র সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই সংকটের সম্ভাবনা স্বীকার করেছেন।
শিশুরা মাথাব্যাথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, অলস বোধ করা বা নড়াচড়া করতে না পারার অভিযোগ করেছে। কেউ কেউ কমলা, ক্লোরিন বা ক্লিনিং এজেন্টের গন্ধের কথা বলেছে।
বিষপ্রয়োগের ঘটনাগুলো ইরানের জন্য সংবেদনশীল একটি সময়ে সামনে আসে। সেপ্টেম্বর মাসে ইরানের কঠোর ইসলামিক পোষাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এক তরুণী নৈতিকতা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার পর মারা যায়, এর পর থেকে দেশব্যাপী কয়েকমাস ব্যাপী বিক্ষোভ সংঘটিত হয়।
বিষক্রিয়ার ঘটনা কয়েক মাস অস্বীকার করার পরে রাষ্ট্র-চালিত আইআরএনএ রবিবার এই বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেগুলোতে কর্মকর্তারা এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্বীকার করেছেন।
ইরানের প্রসিকিউটর-জেনারেল তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “ইচ্ছাকৃত অপরাধমূলক কাজের সম্ভাবনা রয়েছে।” আইআরএনএ একজন উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বেনামী কিছু লোকজন স্কুলগুলো বন্ধ করতে চেয়েছিল।
২০১৪ সালে ইরানের ইসফাহান শহরের আশেপাশে যথেষ্ট রক্ষণশীল পোশাক না পরায় সন্দেহভাজন চরমপন্থীরা নারীদের ওপর এসিড ছুঁড়েছিল। কিন্তু শিয়াদের ইসলামে নারী শিক্ষার কোনো বিরোধিতা নেই। ইরান এমনকি আফগানিস্তানের তালিবানকে নারী এবং মেয়েদেরকে স্কুলে ফিরে যেতে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।