ইরানে মেয়েদের স্কুলে সন্দেহজনক বিষ প্রয়োগের ঘটনায় সংকট আরও বেড়েছে

১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত এবং রয়টার্স দ্বারা প্রাপ্ত অপ্রকাশিত ভিডিও থেকে এই স্থির চিত্রটিতে ইরানের আরদাবিলে বিষক্রিয়ার রিপোর্টের পর একজনকে একটি মেয়েদের স্কুলের বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে৷ (ফাইল ছবি)

ইরানের স্কুলছাত্রীদের লক্ষ্য করে সন্দেহজনক বিষ প্রয়োগের বিষয়ে সংকট রবিবার আরও ঘনীভূত হয়েছে। কারণ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে যে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ৫০ টিরও বেশি স্কুলে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। ইরান গত কয়েক মাস ধরে অস্থিরতার সম্মুখীন হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা আরও আতংক ছড়িয়েছে।

শিয়াদের পবিত্র শহর কোমে নভেম্বরে কথিত বিষক্রিয়া শুরু হওয়ার পর, কে বা কী এর জন্য দায়ী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত ইরানের ৩০টি প্রদেশের ২১টি স্কুলে বিষক্রিয়ার সন্দেহজনক ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মূলত মেয়েদের স্কুলগুলোই ওই বিষক্রিয়ার প্রধান লক্ষ্য ছিল।

হামলার ফলে এই আশংকা তৈরি হয়েছে যে, অন্য মেয়েদেরও বিষ প্রয়োগ করা হতে পারে, দৃশ্যত শুধুমাত্র স্কুলে যাওয়ার কারণে। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ৪০ বছরেরও বেশি সময়ে মেয়েদের শিক্ষা কখনও এরকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি। যদিও ইরান প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে তালিবানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে, যাতে দেশটির মেয়ে ও নারীদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে দেওয়া হয়।

বিষক্রিয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মনোযোগ পাওয়ার পর কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার ঘটনাগুলি তদন্তের নির্দেশ দেন।

রবিবার, গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিবের পাঠ করা এক প্রতিবেদনের পর, রাইসি মন্ত্রিসভাকে বলেন, বিষ প্রয়োগের মূল ঘটনা উন্মোচন করতে হবে এবং এর জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি অভিযুক্ত হামলাকে "শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ" বলে বর্ণনা করেছেন।

বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা মাথাব্যথা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, অলস বোধ করা কিংবা নড়াচড়া করতে অক্ষম হওয়ার অভিযোগ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বর থেকে অন্তত ৪০০ স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুটি মেয়ে এখনও হাসপাতালে রয়েছে।

ইরান তদন্তে সহায়তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। রবিবার পর্যন্ত ডাব্লুএইচও-তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।