সৌদি আরব এবং ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে

ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলী শামখানি (ডানে), সৌদি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসাদ বিন মোহাম্মদ আল-আইবানের (বামে) সাথে করমর্দন করছেন। চীনের কূটনীতিক ওয়াং ই (মাঝখানে) দাঁড়িয়ে আছেন। বেইজিং। ১১ মার্চ, ২০২৩।

মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময় দুই বছরের দীর্ঘ আলোচনা এবং অন্তত পাঁচ দফা আলোচনার পর সৌদি আরব এবং ইরান সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেছেন, চুক্তির ইতিবাচক পরিণতি হওয়া উচিত।

ইরানের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চুক্তি “প্রতিবেশী নিরাপত্তা নীতির ভিত্তিতে এই অঞ্চলে বৃহৎ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।”

প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক খাত্তার আবু দিয়াব ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, উভয় দেশের সাথে চীনের বৃহৎ অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে এবং অঞ্চলটি স্থিতিশীল না হলে তাদের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা দিনের আলো দেখতে পাবে না।

চীন তাদের ব্যবহৃত তেলের ৪০ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করে এবং তাদের প্রায়শই প্রচারিত “মেরিটাইম সিল্ক রোড ইনিশিয়াটিভ”-এর মধ্যে রয়েছে পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের বন্দর ব্যবহার করার পরিকল্পনা। এই অঞ্চলগুলো প্রায়ই আঞ্চলিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয়।

ওয়াশিংটন ভিত্তিক উপসাগরীয় বিশ্লেষক থিওডোর কারাসিক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রতিক্রিয়া আগামী সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে আরও দৃশ্যমান হতে পারে। তবে সুখবর হলো (দুই পক্ষের মধ্যে) যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল, তা শিথিল হয়ে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। এটি উপসাগরীয় অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোকে স্বস্তির অনুভূতি দেয়।”