এই সপ্তাহে টোকিওতে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নেতারা মিলিত হবেন

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কম্বোডিয়ার নমপেনে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সাথে করমর্দন করছেন। ১৩ নভেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নেতারা এই সপ্তাহের শেষের দিকে টোকিওতে একটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন। তারা বিশ শতকের প্রথমার্ধে কোরিয়ায় জাপানের নৃশংস দখলদারিত্বের পুরোনো ক্ষতগুলোর কারণে চাপা পড়া সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল দুই দিনের জাপান সফরের প্রথম দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কুশিদার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। ২০১১ সালের পর এটি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের জাপানে প্রথম সরকারি সফর।

ইউনের সরকার ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের দখলদারিত্বের সময় কোরিয়ানদের দাসে পরিণত করা জাপানি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য স্থানীয় বেসামরিক তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা ঘোষণা করার কয়েকদিন পরেই এই সফর সম্পন্ন হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের কোম্পানিতে হাজার হাজার কোরীয়কে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা হয় অথবা টোকিওর সেনা-চালিত পতিতালয়ে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়।

২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট দুটি জাপানি কোম্পানি-নিপ্পন স্টিল এবং মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ-কে জোরপূর্বকভাবে কাজ করানো প্রাক্তন শ্রমিক বা তাদের আত্মীয়দেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।

ক্ষতিপূরণের পরিকল্পনাটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকিকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করার জন্য জাপানের সাথে বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক মেরামত করতে এবং ত্রিপক্ষীয় সিউল-টোকিও-ওয়াশিংটন নিরাপত্তা সহযোগিতাকে দৃঢ় করার সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।

তবে এটি জোরপূর্বক কাজ করানো প্রাক্তন শ্রমিক এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। তারা জাপানি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সরাসরি ক্ষতিপূরণ দাবি করছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।