মোজাম্বিকের ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৫৩

একটি হ্যান্ডআউট ভিডিও থেকে নেয়া এই স্ক্রিন গ্র্যাবে মোজাম্বিকের জাম্বোজিয়ার কুইলিমানে সাইক্লোন ফ্রেডির আঘাতে গাছের ডালগুলো দুলছে। ১২ মার্চ, ২০২৩।

বুধবার মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নুসি বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডিতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩-এ দাঁড়িয়েছে। রেকর্ড ভাঙা ঝড়ের কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রতিবেশী মালাউইতে কমপক্ষে ২২৫ জন মারা গেছে।

একটি রাষ্ট্রীয় টিভি ভাষণে নুসি বলেছেন, মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃত্যুগুলো ডুবে যাওয়া, বৈদ্যুতিক আঘাত, আগুন, দেয়াল ও গাছ ভেঙে পড়ে এবং বজ্রপাতের কারণে ঘটেছে। তিনি বলেন, কুইলিমান শহরটি ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো থেকে ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ১৩০ টির বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। নুসি জানান, জাম্বোজিয়া প্রদেশে দেড় হাজারের বেশি শ্রেণিকক্ষ এবং এবং ৫২টি ক্লিনিক ধ্বংস হয়েছে।

মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট বলেন, উদ্ধার অভিযানের জন্য ২৫০ জন নিরাপত্তা কর্মী পাঠানো হয়েছে এবং পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য প্রায় ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করা হবে।

তিনি বলেন, মোজাম্বিকে একটি স্থায়ী ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্গঠন কার্যালয় থাকবে। ক্ষতির মূল্যায়ন করা হবে এবং জাম্বোজিয়া প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর পুনরুদ্ধার বা পুনর্গঠনের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক সংস্থান একত্রিত করা হবে।

নুসি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কিছু এলাকার রাস্তা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে এবং ক্রমাগত বৃষ্টি ছয়টি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

শনিবার ফ্রেডি দ্বিতীয়বারের মতো মোজাম্বিকে আঘাত হানে। ফেব্রুয়ারিতে মাদাগাস্কারে প্রথম আঘাতের পর থেকে রেকর্ড করা সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটি একটি।