যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, এ সপ্তাহে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মস্কো সফর এ ধারণা দিচ্ছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার সশস্ত্রবাহিনী দ্বারা সংঘটিত “অসংখ্য যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য নৃশংসতার” জন্য ক্রেমলিনকে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন বলে মনে করে না চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক সোমবার ২০২২ সালের দেশভিত্তিক মানবাধিকার চর্চা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে, “ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত প্রকাশ্য হত্যা (সামারি এক্সিকিউশন), নির্যাতন, ধর্ষণ, বেপরোয়া হামলা ও ইচ্ছাকৃত ভাবে বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর প্রতি হামলার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদনের” উল্লেখ করা হয়েছে। এর সবই যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কো, ইউক্রেনে সর্বাত্মক আগ্রাসন চালানোর পর এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
ব্লিংকেন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদদাতাদের বলেন, “এমন কী (রুশ বাহিনীর) বিরুদ্ধে নিন্দা না জানিয়ে (চীন) বরং রাশিয়ার জন্য কূটনৈতিক বর্মের ব্যবস্থা করেছে, যাতে তারা (রাশিয়া) এসব অপরাধ চালিয়ে যেতে পারে”।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিবিদ আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, চীন তাদের দেয়া শান্তি প্রস্তাবের আওতায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে শি’র সফরকে ব্যবহার করতে পারে।
ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেন, “ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের জন্য এবং স্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যেকোনো পরিকল্পনার মৌলিক উপকরণ হলো জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা।”
চীনের বিষয়ে ব্লিংকেন বলেন, দেশটির জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য ধর্ম ভিত্তিক ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে “গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” অব্যাহত রয়েছে।
নতুন এই প্রতিবেদনে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকারের চলমান পরিস্থিতির বর্ণনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক মানবাধিকার বিষয়ক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।