লেবাননে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বুধবার শত শত বিক্ষোভকারী দমনে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে, যাদের বেশিরভাগই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। বিক্ষোভকারীরা বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সরকারের সদর দপ্তরের বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালান।
দেশটিতে চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে বেশিরভাগ মানুষ অসন্তুষ্ট, যার কারণে এ সহিংসতার উদ্ভব হয়। ২০১৯ সাল থেকে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে এবং শাসকগোষ্ঠী বহু বছর ধরে লাগামহীন অব্যবস্থাপনা চালিয়ে যাচ্ছে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও পুলিশসদস্যরা আরও অধিক বেতনের দাবিতে দাঙ্গা পুলিশ ও সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কাঁদানে গ্যাসের কারণে অসংখ্য মানুষ শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন। বিক্ষোভকারীরা সরকারি সদরদপ্তরের সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ে মারেন এবং বারবার বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন।
সংঘর্ষে কারও আহত হওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি। অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও ব্যাংকের আমানতকারীরা এ বিক্ষোভের ডাক দেন। স্থানীয় ব্যাংকগুলো চলমান সংকটের মোকাবিলায় অনানুষ্ঠানিকভাবে মূলধনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া চালুর পর আমানতকারীরা তাদের নিজেদের জমানো টাকা তোলার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন।
এই নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় মুদ্রা স্বল্পতার মোকাবিলা করতে অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যাদের ডলার অ্যাকাউন্ট আছে, তারা শুধু ছোট আকারে কালোবাজারে মুদ্রা বিনিময়ের হারের চেয়ে কম হারে লেবানিজ পাউন্ড উত্তোলন করতে পারছেন।
বুধবার সকাল থেকে সরকারের সদর দপ্তরে দাঙ্গা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়, যেটি বৈরুতের গ্র্যান্ড সেরেইল নামে পরিচিত অটোম্যান আমলের একটি ৩ তলা ভবন।