নেতানিয়াহুর লন্ডন সফরের প্রতিবাদ করেছে ব্রিটিশ বিক্ষোভকারীরা

লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সফরের সময় বিক্ষোভকারীরা গণতন্ত্রের দাবি তোলে;২৪ মার্চ ২০২৩।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শুক্রবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে লন্ডনে তার সরকারি বাসভবনে স্বাগত জানান। তখন বিক্ষোভকারীরা হিব্রুতে “শেম” বলে চিৎকার করে। বিক্ষোভকারীরা এর মধ্য দিয়ে ইসরাইলি নেতার ডানপন্থী নীতি এবং দেশটির বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে তার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

নেতানিয়াহু যখন লন্ডনে পৌঁছান, তখন ইসরাইলে বিক্ষোভকারীরা তার ডানপন্থী সরকারের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন করার পরিকল্পনা নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় এবং সড়ক অবরোধ করে।ইসরাইলের সমাজে দেশজুড়ে এমন প্রতিবাদের ঘটনা বিরল। প্রতিবাদকারীদের মধ্যে রয়েছেন সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সদস্য, নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য, উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবসায়ীরা।

নেতানিয়াহুর প্রস্তাবগুলো তার সরকারকে বিচার বিভাগীয় নিয়োগের ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেবে; আইনের বিচারিক পর্যালোচনার সযোগ সীমিত করে সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করবে এবং পার্লামেন্টকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে আদালতের সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করার অনুমতি দেবে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি কঠোর নীতির জন্যও ইসরাইলি সরকার সমালোচিত হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির একজন মন্ত্রীর মন্তব্যও এই সমালোচনার মধ্যে রয়েছে। তিনি তার মন্তব্যে ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্ব এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে অস্বীকার করেছিলেন।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, সুনাক এবং অন্যান্য ব্রিটিশ কর্মকর্তার সাথে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে , ইসরাইলের চিরশত্রু ইরানের দ্রুত অগ্রসরমান পরমাণু কর্মসূচি।

অধিকার গোষ্ঠী এবং ফিলিস্তিনিরা বলেছে, ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য যে ভূমির কথা বলে, ইসরাইল সেই ভুমি ৫৫ বছর ধরে প্রকাশ্য দখলে রেখে এবং ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি নাগরিক, যারা বহু ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার, তাদের সাথে যে আচরণ করছে, তার মাধ্যমে ইসরাইলের গণতান্ত্রিক আদর্শগুলো বহুদিন ধরেই কলঙ্কিত হচ্ছে।