ব্রিটেন বলছে, রাশিয়া সম্ভবত “আরও প্রতিরক্ষামূলক তত্পরতার পরিকল্পনা ” পরিচালনা করবে

ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের বাখমুতের কাছে রাশিয়ার সৈন্যদের সাথে লড়াইয়ের সময় একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য গুলি চালায়। (২৪ শে মার্চ, ২০২৩)

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দৈনন্দিন ভাষণের প্রতিলিপি: "শত্রুকে অবশ্যই জানতে হবে: ইউক্রেন আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ ক্ষমা করবে না , এই মৃত্যু এবং ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষমা করবে না" – রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেন্সকি

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শনিবার ইউক্রেন সম্পর্কিত তাদের দৈনিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলেছে,রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেনে তাদের অভিযানে "২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে সাধারণ আক্রমণ চালানোর প্রচেষ্টার অসম্পূর্ণ ফলাফলের পরে “আরও প্রতিরক্ষামূলক তত্পরতার পরিকল্পনা " পরিচালনা করছে।

ইউক্রেনের সৈন্যরা পিছু হটার পরিবর্তে বাখমুতে আরও গভীরে ঢুকেছে । কিছু পশ্চিমা সামরিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এই কৌশলটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আক্রমণের জন্য বাহিনী সংরক্ষণ করা দরকার।

তবে ব্রিটিশ মন্ত্রকের মতে, বাখমুতে রাশিয়ার আক্রমণ "মূলত থমকে গেছে ...যা রুশ বাহিনীর চরম শক্তি ক্ষয়ের ফল।"

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস বলছে, প্রায় ১০ হাজার ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক, যাদের অনেকেই বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী, তারা বাখমুত ও এর আশেপাশের বসতিগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অবস্থান করছে।

ইউক্রেনের ডিনিপ্রো থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইসিআরসি'র উমর খান বলেন, "তারা অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাস করছে, প্রায় পুরো দিন [ভূগর্ভস্থ] আশ্রয়কেন্দ্রে তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেই বাস করতে হচ্ছে।“

যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনে, জাতিসংঘ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর পাশাপাশি গুম, নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যার বেশিরভাগই রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলে ইউক্রেনীয়দের সাথে ঘটেছে। রাশিয়া “বিশেষ সামরিক অভিযান” হিসেবে নৃশংসতা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে সহায়তা করতে পারে এমন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য, শুক্রবার বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উভয় দলের সিনেটররা।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেয়া এক চিঠিতে সাংসদরা উল্লেখ করেন আইসিসিকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও নমনীয়তা দেওয়ার জন্য কংগ্রেস আইন পাস করেছে।

ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে অবৈধভাবে বিতাড়িত করার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এই আইনি পদক্ষেপের ফলে আদালতের ১২৩ টি সদস্য রাষ্ট্র পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য এবং যদি তিনি তাদের ভূখণ্ডে পা রাখেন তবে তাকে বিচারের জন্য দ্য হেইগ’এ স্থানান্তর করতে হবে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।