যৌন নিপীড়ন বিরোধী আইন আরও সম্প্রসারিত করলেন পোপ

ভ্যাটিকানে রোমান ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীদের সাথে একটি সভায় যোগ দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। ২৫ মার্চ, ২০২৩।

২০১৯ সালে প্রণীত গির্জার একটি আইন, শনিবার আপডেট বা হালনাগাদ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। যার লক্ষ্য যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলি ঢেকে রাখার জন্য সিনিয়র চার্চম্যানদের দায়বদ্ধ করা, ক্যাথলিক নেতাদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য এটিকে সম্প্রসারিত করা এবং পুনরায় নিশ্চিত করা যে, ঝুঁকিগ্রস্ত প্রাপ্তবয়স্করা যখন সম্মতি দিতে অক্ষম হয়, তখন তারাও নির্যাতনের শিকার হতে পারে।

পোপ ফ্রান্সিস ২০১৯ আইনের অস্থায়ী বিধানগুলিকে পুনরায় নিশ্চিত করেছেন এবং সেগুলোকে স্থায়ী করেছেন, যা ভ্যাটিকান এবং ক্যাথলিক শ্রেণিবিন্যাসের জন্য সংকটের মুহুর্তে পাস হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট বিশপ এবং ধর্মীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়া তৈরি করার জন্য সেই সময়ে আইনটির প্রশংসা করা হয়েছিল। কিন্তু এর বাস্তবায়ন বেশ অসম ছিল, এবং ভ্যাটিকান মামলাগুলির বিষয়ে ক্রমাগত স্বচ্ছতার অভাবের জন্য ভুক্তভোগীদের দ্বারা ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল।

নতুন নিয়মগুলি তখন থেকে জারি করা ক্যাথলিক চার্চের অপব্যবহার সংক্রান্ত অন্যান্য পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সাধারণ নেতারা তাদের আধ্যাত্মিক আদেশ দ্বারা কিংবা কর্তৃত্বের অধীনে লোকেদের যৌন নিপীড়ন করার বিষয়টি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জনসম্মুখে চলে আসায় তার প্রক্রিয়া স্বরূপ এই নতুন নিয়মগুলো এসেছে।

ভ্যাটিকান আবারও নিশ্চিত করেছে যে, এমনকি প্রাপ্তবয়স্করাও শিকারী যাজকদের শিকার হতে পারে, বিশেষ করে নান কিংবা সেমিনারিয়ান, যারা তাদের বিশপ বা উর্ধ্বতনদের উপর নির্ভরশীল।

আইন এবং শনিবার এর হালানাগাদে অপব্যবহার বা গোপন করার জন্য অভিযুক্ত বিশপদের তদন্তের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট বিধান রাখা হয়েছে। অভিযোগগুলি সুপ্রতিষ্ঠিত হলে তদন্ত শুরু করার জন্য আইনটিতে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা রাখা হয়েছে এবং এতে কিছু কিছু পরিবর্তনের নিয়মও বজায় রাখা হয়েছে।

আইনটি সমস্ত গির্জার কর্মীদের ঘরে পাদ্রিদের অপব্যবহারের অভিযোগগুলি রিপোর্ট করার জন্য বাধ্যতামূলক করেছে, যদিও আইনে পুলিশকে রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক নয় বলে উল্লেখ আছে। নতুন আইন এ ব্যাপারে যারা আগে সংবাদ দেবেন তাদের সুরক্ষাকে প্রসারিত করবে; পাশাপাশি, অভিযুক্তদের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তাকেও পুনরায় নিশ্চিত করবে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, ভ্যাটিকান কয়েক দশক ধরে বিশপ এবং ধর্মীয় উর্ধ্বতনদের অপরাধের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ২০১৯ সালের আইনে সেই অভিযোগগুলির প্রতিক্রিয়া জানানোর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু ভুক্তভোগীরা তদন্ত এবং ফলাফল সম্পর্কে অব্যাহত গোপনীয়তার জন্য রোমান ক্যাথলিক চার্চের সরকারকে দোষারোপ করে।