সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলার পর ইরানকে সতর্ক করলেন বাইডেন

কানাডার অন্টারিও অঙ্গরাজ্যের অটোয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন; ২৪ মার্চ, ২০২৩

একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক কেন্দ্র বলেছে, সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত সন্দেহভাজনদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে।

ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস শনিবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছে; যা আগে জানানো তথ্যের চেয়ে বেশি। সংস্থাটি এর আগে জানিয়েছিলো যে ঐ হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে।

ইরান সমর্থিত সন্দেহভাজনদের হামলার জবাবে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলা চালানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এর পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকানদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র “ দৃঢ়ভাবে” সাড়া দেবে।

শুক্রবার কানাডায় রাষ্ট্রীয় সফরে বাইডেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না, তবে আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। গত রাতে ঠিক এটাই ঘটেছে।“

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঠিকাদার নিহত হওয়ার জবাবে তারা বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি “সুনির্দিষ্ট” বিমান হামলা চালিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার শুক্রবার পেন্টাগনে সংবাদদাতাদের বলেন, এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিলো, "খুব স্পষ্ট বার্তা দেয়া যে, আমরা আমাদের সৈন্যদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব সহকারে নেব এবং তারা হুমকিতে থাকলে আমরা দ্রুত এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানাবো।”

তিনি এই হামলাকে " উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে, হতাহতের সংখ্যা কমাতে প্রয়োজনীয় এবং ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শুক্রবার জানান, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার গ্রিন ভিলেজে একাধিক ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে; ওখানে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরাও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঐ হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই হামলাকে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে সিরিয়ার হাসাকার একটি ঘাঁটির রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্রে ড্রোনটি আঘাত হানে।

হামলায় আরো ছয় জন আমেরিকার নাগরিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন সেনা সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আহত সেনা সদস্যদের মধ্যে দুজনকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং অন্য তিনজন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঠিকাদারকে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের মেডিকেল স্থাপনায় সরিয়ে নেয়া হয়।

এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য নেয়া হয়েছে।