বাখমুতের যুদ্ধে জয়লাভের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা করলেন জেলেন্সকি

ইউক্রেনের ২৮তম ব্রিগেডের একজন সৈন্য গ্নেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছে, বাখমুত, ডনেতস্ক অঞ্চল, ইউক্রেনে মার্চ ২৪, ২০২৩

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি মঙ্গলবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতের জন্য যুদ্ধে জয়লাভের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ইউক্রেন যদি এই যুদ্ধে পরাজিত হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইউক্রেনের কিছু মহলের কাছ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করার চাপ আসবে।

জেলেন্সকি বলেছেন, যতদিন না ইউক্রেনের সব অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততদিন তিনি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবেন না। গত বছর পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়া ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলকে দখল করে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রাশিয়ার এ উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে একে সর্বসম্মতিক্রমে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।

পশ্চিমা মিত্ররা বাখমুতের তাৎপর্যকে হালকা করে বলছে যে, সেখানে ইউক্রেনের পরাজয় সামগ্রিক সংঘাতের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না।

তবে জেলেন্সকি দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, প্রতিটি যুদ্ধই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “যুদ্ধ হচ্ছে বড়ার মতো, আমরা কোনো ধাপেই পরাজিত হতে চাই না—ছোট ছোট বড়ার টুকরোর মতো জয়গুলো, ছোট জয় হলেও তা (আমাদের মূল লক্ষ্যের দিকে) ছোট ছোট ধাপে (এগিয়ে যাওয়ার) মতো”।

জেলেন্সকি ট্রেনে করে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত সুমি অঞ্চলসহ যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনের বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করার সময় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলেন।

জেলেন্সকি তাঁর নিয়মিত রাত্রিকালীন ভিডিও বক্তব্যে বলেন, “এ অঞ্চলটি শত্রুর ঠিক পাশে অবস্থিত। এখানে নিরবচ্ছিন্ন হুমকি রয়েছে। আমাদের সীমান্তে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু জীবন ও আমাদের জনগণ অবশ্যই যেকোনো ভীতির চেয়ে বেশি বলিষ্ঠ”।

এ প্রতিবেদনের কিছু তথ্য দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।