চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মধ্য আমেরিকা সফরে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গুয়াতেমালা এবং বেলিজে তার ভ্রমণ শুরু করার জন্য নিউইয়র্ক যাত্রার দিন তাইওয়ানের তাওইয়নে বোর্ডিং গেটের কাছে হাত নাড়ছেন। ২৯ মার্চ, ২০২৩।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, “ বাইরের চাপ” স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করা থেকে আটকাতে পারবে না।

.গুয়াতেমালা এবং বেলিজে সরকারি সফরের জন্য তাইপের তাওয়ুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কিছুক্ষণ আগে বুধবার সাই এই কথা বলেন। তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, তাইওয়ান “শান্ত এবং আত্মবিশ্বাসী” এবং একইসাথে তারা অদম্য এবং কোনো প্রকার উস্কানি চায় না।

মধ্য আমেরিকার মিত্রদের কাছে সাই-এর ১০ দিনের সফরে গুয়াতেমালা যাওয়ার পথে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি যাত্রাবিরতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তারপর ফেরার পথে লস অ্যাঞ্জেলসে একটি যাত্রাবিরতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, তিনি লস অ্যাঞ্জেলসে যাত্রাবিরতিকালীন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রিপাবলিকান এই নেতা ক্যালিফোর্নিয়ার একটি লেজিসলেটিভ জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন।

চীন দ্বীপটিকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে সাই-এর যাত্রাবিরতির বিরোধিতা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক এবং লস অ্যাঞ্জেলসে সাই এর সফরের অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে বলেন, অতীতে সাইসহ তাইওয়ানের অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা নিয়মিতভাবে অন্যান্য দেশে যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নিয়েছেন। সাই নিজেও ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ছয়বার যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নিয়েছেন।

১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে তাইওয়ান স্ব-শাসিত দ্বীপরাষ্ট্র। ওই গৃহযুদ্ধে চিয়াং কাই-শেকের জাতীয়তাবাদী বাহিনী মাও সেতুং-এর কমিউনিস্টদের দ্বারা মূল ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। চীন সামরিক দখলসহ যেকোনো উপায়ে দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার অঙ্গীকার করেছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।