পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার সতর্কবার্তা

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এফ-১৮ সুপার হরনেট বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে মোতায়েন করা রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ এর ফ্লাইট ডেক থেকে উড্ডয়ন করছে (২৭ মার্চ, ২০২৩)

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মার্ক মিলি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই এ অঞ্চলে চীনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অন্যান্য দেশগুলো ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে।

জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস এর চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার বলেন, “পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ মুহূর্তে একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতা চলছে, যে বিষয়টি কোথাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। এই দেশগুলো নিজেদের অস্ত্রসজ্জিত করে তুলছে, এবং অল্প কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে তারা সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে চায়”।

এ মাসে অস্ট্রেলিয়ায় কুড়ি হাজার কোটি ডলারের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন ডুবোজাহাজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। জাপান তাদের প্রতিরক্ষা খাতের বিনিয়োগ দ্বিগুণ করেছে এবং আক্রমণ সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এছাড়াও, দেশটি তাদের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে, যারা সঙ্গে করে সহজে বহনযোগ্য জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আসবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বেইজিং এর পক্ষ থেকে হামলা শুরু হলে তা প্রতিহত করা যাবে।

ইতোমধ্যে, বেইজিং দক্ষিণ চীন সমুদ্র ও তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং প্রয়োজন হলে তারা এর জন্য বল প্রয়োগ করতেও রাজি। মিলি জানান, চীন “এ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার” করার চেষ্টা চালিয়ে এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে অন্যান্য দেশ, যেমন ফিলিপাইনকে অসুবিধায় ফেলতে চাইছে।

ফেব্রুয়ারিতে ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের জন্য ৪টি বাড়তি ঘাঁটি নির্ধারণ করেছে। এ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফিলিপাইনের নির্ভরতা ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুয়ারতে নিজেকে ওয়াশিংটন থেকে দূরত্বে রাখতে চাইতেন ।

আন্তর্জাতিক জলসীমাকে উন্মুক্ত রাখার জন্য ও মিলি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ভাষায়, “চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত সুবিধা বজায় রাখার জন্য” দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।