আবার উত্তর ইরাকের তেল রপ্তানি শুরু করতে চুক্তিতে পৌঁছেছেন কর্মকর্তারা

Iইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি (ডানে), এবং ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানি ইরাকের বাগদাদে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন; ৪ এপ্রিল, ২০২৩। (ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম কার্যালয়/হ্যান্ডআউট রয়টার্সের মাধ্যমে)

উত্তর ইরাক থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তুরস্কে তেল রপ্তানি আবার শুরু করতে, ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছেছেন।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানি বাগদাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির ঘোষণা দেন।

কুর্দি কর্মকর্তারা বলেন, এই চুক্তিটি মঙ্গলবারের প্রথম দিকে আবার রপ্তানি শুরু করার সুযোগ করে দেবে।

কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের তেলের স্বাধীন রপ্তানি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিলো। বিরোধ নিরসনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স (আইসিসি) ইরাকের পক্ষ নিয়ে সালিশ প্রক্রিয়া শুরু করলে, গত মাসে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল তেল পাঠানো বন্ধ করে দেয় ইরাক।

বাগদাদ এবং ইরবিল বছরের পর বছর ধরে তেলের রাজস্ব নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে আছে।

ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক ইরাক। কুর্দি অঞ্চল ইরাকের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল বিপণন সংস্থা সোমোকে পাশ কাটিয়ে প্রতিবেশী দেশের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল রপ্তানি শুরু করলে, ২০১৪ সালে তুরস্কের সঙ্গে সালিশের আবেদন করে ইরাক। ইরাক দাবি করেছে, ১৯৭৩ সালের চুক্তি অনুসারে তুরস্কে সব তেল রপ্তানি হতে হবে সোমোর মাধ্যমে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, ইরাকের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম তেল নির্ভর অর্থনীতি। দেশটির বেশিরভাগ তেলের মজুদ দক্ষিণে অবস্থিত হলেও, কুর্দি অঞ্চল উত্তরের ক্ষেত্রগুলো থেকে সম্পদ রপ্তানির ওপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল।