কেন দুটি বিপর্যস্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইউএস ডেমোক্রেসি সামিটে অংশগ্রহণ করেনি

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউজ ক্যাম্পাসে সাউথ কোর্ট অডিটোরিয়ামে সামিট ফর ডেমোক্রেসি ভার্চুয়াল প্লেনারির সময় বিশ্বনেতারা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। ২৯ মার্চ, ২০২৩। ফাইল ছবি।

এটি ছিল গণতন্ত্রের একটি আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন, তবে এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক দেশ এতে অনুপস্থিত ছিল; কেউ কেউ আমন্ত্রণ পায়নি এবং কেউ কেউ আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে।

পাকিস্তান, কোন কারণ না জানিয়েই, যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়, কেবল এটুকুই বলে যে ইসলামাবাদ তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটনের সাথে দ্বিপাক্ষিকভাবে সম্পৃক্ত থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের অনুপস্থিতির আসল কারণ গণতন্ত্র নয়, চীন।

উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “মোটামুটিভাবে এটি ছিল পরিস্কার কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত।”

তিনি বলেন, “চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এবং তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পাকিস্তান তার চীনা মিত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তাইওয়ান উপস্থিত ছিল এমন একটি ফোরামে যোগ দিতে চাইবে না।”

ভঙ্গুর গণতন্ত্র

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সম্মেলন সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হল। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ফ্রিডম হাউজের মতে, গণতন্ত্রীকরণের গতি শ্লথ হয়ে গেছে, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা আরও কার্যকর এবং প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। ফ্রিডম হাউজ বিশ্বব্যাপী নাগরিক এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিষয়ে প্রতিবেদন করে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ক্ষমতাসীন জোট সরকার এবং প্রধান বিরোধী দলের নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যকার তীব্র রাজনৈতিক সংঘাতের প্রেক্ষিতে আরেকটি অভ্যুত্থানের জল্পনা চলছে।

তুরস্ক

যুক্তরাষ্ট্র একটি সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র এবং নেটো মিত্র তুরস্ককে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে বা গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি।

প্রায়শই স্বৈরাচারী এবং স্বৈরশাসক হিসেবে চিহ্নিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে তুরস্ককে একটি অগণতান্ত্রিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হয়। এরদোয়ান এই সমালোচনা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।