উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া,যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিরিা , দক্ষিণ কোরিয়ার সোওলে তাদের বৈঠকের আগে করমর্দন করছেন। এপ্রিল ৭, ২০২৩।

দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান উত্তর কোরিয়ার বিদেশে কর্মী পাঠানোকে নিষেধ করার প্রচেষ্টার ব্যাপারে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থনের এবং উত্তর কোরিয়ার সাইবার অপরাধ দমনের একটি উপায় হিসেবে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিতে অর্থায়নের উপায় অবরুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের ১১ দফার নিষেধাজ্ঞা এবং মহামারী-সম্পর্কিত সমস্যাগুলো উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক এবং খাদ্য সমস্যার আরও অবনতি ঘটিয়েছে। তবুও উত্তর কোরিয়া তার সীমিত সম্পদের বেশিরভাগই তার পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যয় করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ তাদের প্রত্যাবাসনের পূর্ববর্তী জাতিসংঘের আদেশ সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার ক্রিপ্টো হ্যাকিং এবং অন্যান্য অবৈধ সাইবার কার্যক্রম এবং চীন, রাশিয়া ও অন্যত্র অবস্থানরত উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের পাঠানো মজুরিও দেশটির অস্ত্র কর্মসূচির অর্থায়নে অবদান রাখতে পারে।

সোওলের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় একটি যৌথ বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের রাষ্ট্রদূতরা, বিদেশে উত্তর কোরয়ার কর্মীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ছয় মাসের মধ্যে তাদের প্রথম এই ধরনের প্রশিক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানি বাহিনীর সাথে সাবমেরিন বিরোধী নৌ মহড়া পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানগুলোর সাথে পৃথক, দ্বিপাক্ষিক বিমান প্রশিক্ষণের জন্য পারমাণবিক-সক্ষম বোমারু বিমানও উড়িয়েছিল।

গত সপ্তাহে নতুন এক ধরনের পারমাণবিক ওয়ারহেড উন্মোচন করার পর থেকে উত্তর কোরিয়া পাঁচ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রে ফিট করার মতো ছোট এবং হালকা ধরণের যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করেছে কি না।