সিরিয়া থেকে আবার রকেট হামলা, ইসরাইলের প্রতি-আক্রমণ

ইসরাইলের দখলকৃত গোলান মালভূমির কিব্বুৎজ মেইতসারে নিক্ষিপ্ত রকেটের খোঁজ করছেন ইসরাইলি সেনারা; ৯ এপ্রিল, ২০২৩।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা রবিবার দিনের শুরুতে সিরিয়ায় অবস্থিত লক্ষ্যগুলোতে হামলা চালিয়েছে।সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে থেকে দুই দফায় মোট ৬টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়।এই হামলার জবাবে ইসরাইলের সেনারা প্রতি-আক্রমণ চালায়।ইসরাইলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশী দেশ সিরিয় থেকে এমন হামলা চালানো একটি বিরল ঘটনা।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানায়, দ্বিতীয় দফায় ৩টি রকেট হামলার পর, এর জবাবে, সিরিয়ার যে অঞ্চল থেকে রকেটগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেখানে কামানের গোলা ছুঁড়েছে সেনারা। পরবর্তীতে ইসরাইলি জঙ্গি বিমান, সিরিয়ার সেনা স্থাপনায় হামলা চালায়।স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার চতুর্থ ডিভিশনের কম্পাউন্ড, রাডার ও গোলন্দাজ চৌকি।

সবচেয়ে সংবেদনশীল পবিত্র স্থানে পুলিশের অভিযান এবং জেরুজালেমে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে চলা বহুমাত্রিক সহিংস ঘটনার কয়েকদিন পর এই রকেট হামলা হয়।

দ্বিতীয় দফার হামলাটি হয় রবিবার সকালে। দুইটি রকেট সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে পৌঁছায়। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ১টিকে আকাশে ধ্বংস করা হয় এবং অপরটি খোলা জায়গায় গিয়ে পড়ে। শনিবারে চালানো প্রথম হামলায়, ১টি রকেট ইসরাইলের দখলকৃত গোলান মালভূমির একটি মাঠে গিয়ে পড়ে। অন্যটি ধ্বংস করা হলে, এর খণ্ডগুলো সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানের অঞ্চলে পড়েছে বলে জানিয়েছে জর্ডানের সামরিক বাহিনী।

এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

সিরিয়ার সরকারের অনুগত ১টি দামাসকাস ভিত্তিক ফিলিস্তিনি সংগঠন শনিবারের ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বৈরুত ভিত্তিক আল-মায়াদীন টেলিভিশন।

প্রতিবেদনে আল-কুদস ব্রিগেড নামে পরিচিত অধা-সামরিক (মিলিশিয়া) বাহিনীকে এ হামলার জন্য দায়ী করা হয়। একই নামে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ সংগঠনের ১টি সশস্ত্র অঙ্গ-সংগঠন রয়েছে। তবে এই ২টি সংগঠন এক নয়। সংগঠনটি জানায়, তারা আল-আকসা মসজিদে পুলিশের অভিযানের প্রতিশোধ নিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

সর্বশেষ সহিংসতার ঘটনাগুলোর নেপথ্যে রয়েছে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মসজিদে ইসরাইলি পুলিশের অভিযান। অভিযানের সময় তারা, শত শত বিক্ষভকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুঁড়ে। এই ফিলিস্তিনীরা মসজিদের ভেতরে নিজেদের চারপাশে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছিলেন। এই অভিযানের সহিংস ধরণের কারণে বিতর্কিত রাজধানী জেরুজালেমে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং সমগ্র আরব বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠে।