হাইতিতে বেড়েছে সহিংসতা, অপরাধী চক্রের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য নিহত

হাইতির পোর্ট-অ-প্রিন্সে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত ৩ পুলিশ কর্মকর্তার অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সময় পুলিশ একাডেমির সামনে পাহারারত পুলিশ সদস্য; ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল একটি অতর্কিত হামলায় আরো ৩ জন কর্মকর্তা নিহত হন।

হাইতির রাজধানীর কাছে রবিবার একটি অপরাধী চক্র অতর্কিত হামলা চালিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। এটি হলো একটি স্বল্প-সম্পদ ও স্বল্প-তহবিল সম্পন্ন পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে সর্বসাম্প্রতিক হামলা। কর্তৃপক্ষের মতে, এই বছর এ পর্যন্ত এই অপরাধী চক্রের হামলায় প্রায় ২৪ জন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের দক্ষিণে অবস্থিত, থমাসিন নামের একটি অভিজাত-পাড়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে “টি মাকাক” নামে একটি অপরাধী চক্র। টি মাকাক-এর অর্থ “ছোট ম্যাকাক” (ছোট বানর)।

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং শোক প্রকাশ করেছেন।

এই বছর অপরাধী চক্রের হামলায় অন্তত ২১ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর, অপরাধী চক্রগুলো এলাকা দখলের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

গত সেপ্টেম্বরে পার্শবর্তী লাবোলে এলাকায় আরো তিন কর্মকর্তাকে হত্যার জন্যও দায়ী করা হয় টি-মাকাকা অপরাধী চক্রকে। এছাড়া, গত বছর সে এলাকায় দুজন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করার পর, তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। খুন করা হয় একজন সাবেক সিনেটর এবং তার ভাগ্নেকে।

মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে এবং এর আশেপাশের এলাকায় কমপক্ষে ৫৩১ জনকে হত্যা এবং ২৭৭ জনকে অপহরণ করার জন্য অপরাধী চক্রগুলোকে দায়ী করা হয়। জাতিসংঘের মতে, ১ কোটি ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার দেশে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের অনুমান, এখন পোর্ট-অ-প্রিন্স এবং এর আশেপাশের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে অপরাধী চক্রগুলো।