ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সৌদি যুবরাজের আলোচনা

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সৌদি আরব ও হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনে যখন তাদের ৯ বছরের সংঘাতের স্থায়ী অবসানের ব্যাপারে “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” করছে তখন এই ফোনালাপ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান।

ইরানের মিত্র হুথিরা ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সৌদি আরবে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও বুদ্ধিমত্তায় সজ্জিত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৫ সালে ইয়েমেনের নির্বাসিত সরকারের পক্ষ নিয়ে হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে।

বছরের পর বছর ধরে চলা অমীমাংসিত এই যুদ্ধ একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে এবং আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশটিকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্য অনুসারে, এ যুদ্ধে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে ১৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক।

ওপেক প্লাস গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে, তারা পরের মাস থেকে দৈনিক ১১ লাখ ব্যারেল অর্থাৎ বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ১ শতাংশ তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। সৌদি আরব বলেছে, উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত ছিল “সতর্কতামূলক”। কারণ বিশ্ব অর্থনীতির গতি ধীর হচ্ছে এবং তেলের চাহিদা কমছে বলে মূল্য ধরে রাখতে এ সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে।

গত সপ্তাহের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি নমনীয় ছিল। বাইডেন বলেছিলেন, “আপনারা যতটা ভাবছেন এটা ততটা খারাপ হবে না”।