কঠিন-জ্বালানি চালিত নতুন আইসিবিএম পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সোওল রেলওয়ে স্টেশনে টিভি পর্দায় একটি সংবাদ অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের একটি ফাইল ছবিসহ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিবেদন দেখা যাচ্ছে; ১৩ এপ্রিল, ২০২৩।

উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা নতুন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যাতে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এই দাবি নিশ্চিত হলে, যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে পিয়ংইয়ং আরো দ্রুত এবং আরো অননুমেয় ভাবে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার সক্ষমতা অর্জন করবে।

সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বলেছে, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন হোয়াসং-১৮ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ তত্ত্বাবধান করেছেন। তারা বলেছে, এটি দেশের কৌশলগত প্রতিরক্ষা এবং পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণের ধরণকে নাটকীয়ভাবে উন্নত করবে।

উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে কঠিন-জ্বালানি চালিত আইসিবিএম তৈরি করতে চেষ্টা করছে। তাত্ত্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রতিপক্ষের পক্ষে এই ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র শনাক্ত করা এবং গতিপথেই বাধা দেয়া কঠিনতর হবে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে, উৎক্ষেপণের সময় কিম তার কন্যার হাত ধরে আছেন। তখন তারা উজ্জ্বল, কমলা রঙের ধোঁয়ার পাতলা আবরণ ভেদ করে ক্ষেপনাস্ত্রটি বের হয়ে আসতে দেখেন।

কেসিএনএ নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত কম প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি প্রদান করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ কত দূরে যেতে সক্ষম তাও তারা প্রকাশ করেনি।

উত্তর কোরিয়া এই বছরেই তিনটি আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করেছে। এছাড়া আরো অনেক স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটি। উত্তর কোরিয়া বলেছে গত মাসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রসারিত সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা কিছু ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করেছে।

এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া একটি সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কথা জানায়। এ বিষয়ে তারা একাধিক পরীক্ষাও চালিয়েছে। তারা বলেছে, ঐ লক্ষ্য অর্জনের জন্যেই এ পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয়।