লড়াই তীব্রতর হওয়ায় বাখমুতের কিছু অংশ খালি করেছে ইউক্রেনের সৈন্যরা
-
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি বিল স্বাক্ষর করেছেন যাতে রুশদের সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ করা সহজতর হয়।
-
ইউক্রেন বা রাশিয়া, কারো কাছেই অস্ত্র বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।
কিয়েভের রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা এনারগোয়াটম জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে সরঞ্জাম ও পানি নিয়ে এসেছে। আর, রুশ বাহিনী পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে স্বল্প সংখ্যক কর্মীকে আটকে রাখতে পারে।
ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান চান রাশিয়া ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে আসুক। ইয়েভগেনি প্রিগোজিন শুক্রবার টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, “ইউক্রেনে যুদ্ধের “নিশ্চিত সমাপ্তির” সময় এসেছে।” তিনি বলেন, “রুশ সরকার ও সমাজের জন্য এখন ইউক্রেন যুদ্ধের দৃঢ় সমাপ্তি প্রয়োজন।”
তিনি আরো বলেন, "রাশিয়া যে ফলাফল চেয়েছিলো তা অর্জন করেছে। ইউক্রেনের বেশিরভাগ সক্রিয় পুরুষ জনসংখ্যাকে সরিয়ে দিতে পেরেছে এবং বাকিদের ভয় দেখিয়েছে।” তবে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের কোনো বিজয়ের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।
ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার হয়ে ভাড়াটে সৈন্য সরবরাহ করেছে।
এদিকে, রাশিয়ার আকাশ হামলায় শুক্রবার বাখমুতের উত্তর-পশ্চিমে পূর্ব-ইউকেনের শহর স্লোভিয়ানস্ক-এ অন্তত ৮ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
দোনেৎস্ক-এর গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো জাতীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, শহরটিতে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ জানায়, এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ১০টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও অন্যান্য স্থানে আঘাত হেনেছে। এ হামলায় একটি পাঁচতলা ভবনের উপরের দুই তলা ধসে পড়ে। উদ্ধারকারী দল জীবিতদের সন্ধান করছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দারিয়া জারিভনা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কিরিলেনকো আরো বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো লোকজন আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলেন্সকি শুক্রবার এক টুইটবার্তায় বলেন, “অর্থোডক্স ইস্টারের আগে এই সপ্তাহের এক ঘণ্টাও হত্যা ও সন্ত্রাস ছাড়া কাটেনি। এটি একটি অশুভ রাষ্ট্র, এবং তাকে হার মানতে হবে।আমাদের জয় লাভ করা, মানবতার প্রতি আমাদের কর্তব্য। আর আমরাই জিতবো!''
সর্বসাম্প্রতিক এই হামলা পরিচালনা করা হলো যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার একটি বিলে স্বাক্ষর করেন। এই আইনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষক ইলেকট্রনিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির অনুমতি পেলো। আইনটি এমন উদ্বেগ বাড়িয়েছে যে রাশিয়া আর একবার সৈন্য নিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।