যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সোমবার একটি যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া পরিচালনা করেছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্র সম্ভার মোকাবেলার লক্ষ্যে এই মহড়া পরিচালনা করা হয়। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেন যে, তারা “পরিষ্কারভাবে একটি নিরাপত্তা সংকট এবং অপ্রতিরোধ্য হুমকি”র ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছেন। এর পর এই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হলো।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো কঠিন জ্বালানি দ্বারা চালিত একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করে। এই উৎক্ষেপণটি ছিলো কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে উস্কানিমূলক অস্ত্র প্রদর্শন। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো দ্রুতগতির, সনাক্ত করতে কঠিন এবং এটি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দুই দফা মহড়া, উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আক্রমন্নাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এশীয় মিত্রদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে উত্তর কোরিয়া। আর, উত্তর কোরিয়া তার নিজস্ব অস্ত্র বিকাশকে ত্বরান্বিত করার অজুহাত হিসেবে এই ধরণের মহড়াকে ব্যবহার করছে। এর মধ্য দিয়ে একটি প্রতিশোধ চক্র তৈরি হচ্ছে, যার ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়াকে যেকোনো ধরণের ব্যালিস্টিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু, গত বছরের শুরু থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, চীন এবং রাশিয়ার ভেটোর কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ব্যর্থ হয় নিরাপত্তা পরিষদ।
২০২২ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত, উত্তর কোরিয়া তার নজিরবিহীন অস্ত্র পরীক্ষায় বিভিন্ন পাল্লার ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছে। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার সৃষ্টির করার চেষ্টা করছে, যার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিতে পারে।