পাপুয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৪ সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল ইউডো মার্গোনো (মাঝে) পূর্ব জাভার সুরাবায়াতে জুয়ান্ডা বিমান ঘাঁটিতে তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে হাঁটছেন। ১৮ এপ্রিল, ২০২৩।

ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির পাপুয়া অঞ্চলে বিদ্রোহীদের হাতে জিম্মি নিউজিল্যান্ডের এক পাইলটকে খুঁজতে গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নিহত চার সরকারি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

ফ্রি পাপুয়া মুভমেন্টের সশস্ত্র শাখা ওয়েস্ট পাপুয়া লিবারেশন আর্মির সদস্যরা শনিবার পাপুয়া প্রদেশের এনদুগা জেলায় ৩৬ জন সরকারি সেনার ওপর অতর্কিত হামলা চালালে ৪ জন এলিট সেনা সদস্য নিহত হয়।

নিউজিল্যান্ডের ফিলিপ মার্ক মেহরটেনস নামে ওই পাইলটকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদিরা অপহরণ করে। তাঁকে খুঁজতে গেলে বিচ্ছিন্নতাবাদিরা সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

পাইলট অপহরণের ঘটনাটি পাপুয়া প্রদেশের ক্রমাবনতি নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করে। নিউ গিনির পশ্চিম অংশে অবস্থিত পাপুয়া একটি সাবেক ডাচ উপনিবেশ যা ইন্দোনেশিয়ার বেশির ভাগ অংশ থেকে জাতিগত ও সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাপুয়ায় ধারাবাহিক সহিংস ঘটনার মধ্যে শনিবারের লড়াই সর্বশেষ ঘটনা। শনিবার পাপুয়ার আদিবাসী ও ইন্দোনেশিয়ার বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্দোনেশিয়া, সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বৃহত্তর মানবিক সংকট ঠেকাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংলাপকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অ্যামনেস্টির সংগৃহীত তথ্য দেখায় যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিদ্রোহী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭৯ জন বেসামরিক নাগরিক, ৩৫ জন ইন্দোনেশীয় সেনা, ৯ জন পুলিশ এবং ২৩ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী নিহত হয়েছেন।