অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার বৈধতা দিল লিথুয়ানিয়া

লিথুয়ানিয়ার দ্রুসকিনিনকাই অঞ্চলে বেলারুশের সঙ্গে সীমান্তে লিথুয়ানিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া বসাচ্ছেন (৯ জুলাই, ২০২১)

মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে, যার ফলে শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের জোর করে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার বা পুশব্যাকের প্রক্রিয়াটি বৈধতা পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশটির প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে অবৈধভাবে অভিবাসনের জন্য আসা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লড়ার সর্বশেষ এই উদ্যোগে মানবাধিকার কর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

বল্টিক অঞ্চলের এই রাষ্ট্র ইতোমধ্যে ২০২১ সাল থেকেই তথাকথিত পুশব্যাক (জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া) কার্যক্রম চালাচ্ছে। সে সময় মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থী লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও পোল্যান্ডের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টা চালাতে শুরু করে।

গত সপ্তাহে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সতর্কবাণী দিয়ে জানায়, এই আইন “নির্যাতন করার বিষয়টিকে সবুজ সংকেত দেখাবে (বৈধতা দেবে)।”

এই আইনটি কার্যকর হতে এখনো প্রেসিডেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন। মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্টকে এর বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার আহ্বান জানাবেন।

লিথুয়ানিয়ার মানবাধিকার কেন্দ্রের প্রধান জুরাতে জুসকাইতে এএফপিকে বলেন, “আইনের এসব সংস্কার আন্তর্জাতিক আইন ও আমাদের অঙ্গীকার, উভয়ের বিপক্ষে যায়।”

"তিনি আরও বলেন, “এগুলো অনৈতিক। এর মাধ্যমে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জীবন ও স্বাস্থ্য বিপদগ্রস্ত হবে।”

গত বছর অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিথুয়ানিয়া বেলারুশের সীমান্ত জুড়ে ৪ মিটারের একটি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শেষ করেছে।

এই বেড়া প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে। ২ দেশের সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৭০০ কিলোমিটার।

প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেলারুশের সঙ্গে তাদের সীমান্তে নিয়মিত পুশব্যাক প্রক্রিয়াই প্রয়োগ করছে।

এই বিতর্কিত পদক্ষেপ পোল্যান্ডে আইন অনুযায়ী অনুমোদিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধ্যাদেশ ও বিদেশী নাগরিক সংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে একে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে ২টি পৃথক ঘটনায় আদালত শরণার্থীদের অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে।