ইরানে হিজাব আইন না মানায় দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে

তেহরানে নতুন হিজাব নজরদারি বাস্তুবায়নের মধ্যে ইরানি নারীরা রাস্তায় হাঁটছেন। (মজিদ আসগারিপুর/রয়টার্সের মাধ্যমে ওয়েস্ট এশিয়া নিউজ)। ১৫ এপ্রিল, ২০২৩।

বাধ্যতামূলক হিজাব আইন অমান্য করায় ইরানি কর্তৃপক্ষ সারাদেশে প্রচুর দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছে।

ইরানের সংবাদ অনুযায়ী, কেরমানশাহ প্রদেশের পুলিশ কমান্ডার আলী আকবর জাভিদান বলেন, পাবলিক প্লেস তত্ত্বাবধান বিভাগ “অন্যান্য দায়িত্বশীল সংস্থার” সহযোগিতায় “সতীত্ব এবং হিজাব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।”

জাভিদান বলেন, হিজাবের বাধ্যতামূলক নিয়ম না মানায় সতর্কতা জারির পরেও তা উপেক্ষা করায় ৪৫টি ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ইরান সম্প্রতি তার বাধ্যতামূলক হিজাব আইন কার্যকর করার জন্য নতুন একটি দেশীয় নজরদারি কর্মসূচি চালু করেছে। অনেক নারী এটি উপেক্ষা করছেন বলে মনে হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভয়েস অফ আমেরিকার ফার্সি বিভাগের একটি সিরিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অংশে নারীরা হিজাব আইনকে অমান্য করে জনসমক্ষে হিজাববিহীন অবস্থায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরে নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে অনেক ইরানি নারী প্রকাশ্যে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরোধিতা করেছেন। আমিনিকে হিজাবের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। তার মৃত্যু দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্ম দেয়।

নিরাপত্তা বাহিনী সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করেছে। জানুয়ারির শুরুতে হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ৭০ জন শিশুসহ ৫১৬ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড কোরের প্রাক্তন কমান্ডার এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ওয়াহিদি বাধ্যতামূলক পর্দার বিরোধীদেরকে “সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার” হুমকি দিয়েছেন।