ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মানবিক দুর্ভোগ একটি আকস্মিক অর্থনৈতিক আঘাতের সৃষ্টি করেছে যার প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে দূরবর্তী মহাদেশগুলোতে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায়। জ্বালানি অবকাঠামো ও শিল্প কারখানায় রাশিয়ার গোলাবর্ষণ এবং শহর, খনি ও কৃষিজমি ধ্বংস করার ফলে ইউক্রেন ২০২২ সালে তার অর্থনৈতিক উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ হারিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে ৮০ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। যা দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রাকে ১৫ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
আইএমএফের ইউরোপীয় বিভাগের পরিচালক আলফ্রেড কামার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো “দাতাদেরকে বোঝানো” যারা কি না ইউক্রেনকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে তহবিল সরবরাহ করতে পারে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের জন্য বিশ্বব্যাংকের অনুমিত ব্যয় ৪১ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ইউক্রেন আশা করে যে, রাশিয়া যে ক্ষতি করেছে তার জন্য রাশিয়াই অর্থ ব্যয় করবে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে।
২০২২ সালের মার্চে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের বহুজাতিক আরইপিও (রাশিয়ান এলিট, প্রক্সি ও অলিগার্ক) টাস্কফোর্স সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা রুশ অভিজাতদের মালিকানাধীন ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে।
আইএফসি সম্প্রতি ইউক্রেনের বেসরকারি খাতের জন্য ২০০ কোটি ডলারের থোক সহায়তা ঘোষণা করেছে। এদিকে ইবিআরডি বৈদ্যুতিক ও রেল নেটওয়ার্কগুলোর জরুরি মেরামতের জন্য ১৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের কথা ভাবছে।
এই প্রতিবেদনটি ভয়েস অফ আমেরিকা ইউক্রেন সার্ভিসের করা। কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেওয়া।